মোঃ নুরুজ্জামান সবুজ
পাবনার ভাঙ্গুড়ায় আর কতোদিন বাশের সাঁকো দিয়ে নদী পারাপার হতে হবে? কবে হবে করতোয়া নদীর শাখা পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার অষ্টমনিষা ইউনিয়নের ধলাগারা নদীর ওপর ডেঙ্গাপাড়া টু ধলাগাড়া বাঁধপাড়া সংযোগ সেতু/ব্রীজ নির্মাণ? আধুনিক যুগের সড়ক মহাসড়কের সুবিধা বঞ্চিত এলাকার সাধারণ মানুষের মুখে মুখে এমন কথা। এখানে একটি সেতু না থাকায় কয়েক গ্রামের হাজার হাজার মানুষ নানা দূর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। যদি এবং স্থানীয় এলাকাবাসী এ নদীর ওপর নিজেরাই বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করে প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছে। বছরের পর বছর গ্রামের মানুষ নিজেদের অর্থে ও স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে সাঁকোটি তৈরি ব্যয় বহনসহ রক্ষণাবেক্ষণ করে আসছে। সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার অষ্টমনিষা ইউনিয়নের রুপসী,জোকা,বানিয়া বৌ, জোকা বাধপাড়া অপরদিকে পার্শ্ববর্তী উপজেলার নিমাইচড়া ইউনিয়নের বৃহত্তর সমাজ হান্ডিয়াল, ছাইকোলা, নওগাঁ ইউনিয়নের প্রায় গ্রামের মানুষ অষ্টমনিষা ইউনিয়ন পরিষদে, ভাঙ্গুড়া উপজেলা সদর কিংবা জেলা সদরে যাতায়াতে ধলাগার নদীর ওপর বাঁশের তৈরি প্রায় ৩শ ফুট দীর্ঘ সরু এক মাত্র সাঁকো ব্যবহার করে করছেন। অপরদিকে অষ্টমনিষা ইউনিয়নের ডেঙ্গাপাড়া মোড় হতে ধলাগাড়া হয়ে জোকা, বানিয়া বৌ হয়ে সমাজ অভিমুখে রাস্তার নির্মাণ কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। অপরদিকে ডেঙ্গাপাড়া মোড় হতে ধলাগাড়া, জোকা,বানিয়া বৌ হয়ে সমাজ অভিমুখে রাস্তা উন্নয়নের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলেছে। তাই এই রাস্তার করতোয়া নদীর শাখা নদী ধলাগাড়া নামক স্থানে একটি সেতু নির্মাণের জোর দাবী জানিয়েছেন স্থানীয়রা। ধলাগারার উত্তর পাড়ে গদাই রুপসী সপ্রাবি’র প্রধান শিক্ষক শামসুল হকে বলেন, এ নদীতে বার মাস পানি থাকে। আমরা জন্ম থেকেই কয়েক গ্রামের মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এই বাঁশের সাঁকো দিয়ে নদী পার হয়ে ইউনিয়ন সদর, উপজেলা সদর,জেলা সদর যাতায়াত করতে হয়। আর কতকাল বাঁশের সাঁকোয় পারাপার হতে হবে ? কতৃপক্ষের সুদৃষ্টি দেবেন কি?ব্যবস্হা নিবেন কি?
আলোকিত প্রতিদিন/ ০৬ মার্চ, ২০২২/ মওম