তাজউদ্দীন আহমদের নামটি কোথাও থাকলে চিন্তাভাবনার ভাগ বেড়ে যায়: রিমি এমপি

0
259
মোঃ সোহেল মিয়া
স্মৃতি বিজড়িত বঙ্গতাজ তাজউদ্দীন আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের ৫০ বছর পূর্তি উৎসব ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত হয়েছে।  বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে শনিবার দুপুরে সমাপনী দিনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গতাজ কন্যা সিমিন হোসেন রিমি এমপি ও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গতাজ ছেলে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তানজিম আহমদ সোহেল তাজ। গাজীপুর-৪ কাপাসিয়ার সংসদ সিমিন হোসেন রিমি বলেন, আমি সবসময় একটা কথা নিয়ে চিন্তিত, যখন তাজউদ্দীন আহমদের নামটি কোথাও থাকে তখন আমার চিন্তা ভাবনার ভাগ অনেক বেড়ে যায়। যিনি সব সময় সম্মানিত। আমরা কোনভাবেই তার সম্মান টাকে কমাতে পারব না বাড়াতেও পারব না। কিন্তু আমরা যেন বোঝা না সৃষ্টি করি। এই নামের শেষে যে আদর্শ কথাটা যুক্ত আছে এই খানে আমাদের ভাবতে হবে কি ধরনের? এখন যারা এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী তাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, তাজউদ্দিন আহমেদ যখন নবম শ্রেণির ছাত্র ছিলেন তখন তিনি ঢাকায় থাকতেন। ঢাকা থেকে তাজউদ্দীন আহমদকে নিয়ে আসা হত পার্শ্ববর্তী কালীগঞ্জ উপজেলা যে পাইলট হাই স্কুল রয়েছে তখনকার সময়ে ওই স্কুলের নবম শ্রেণির ইংরেজি ও গণিত ক্লাস করানোর জন্য। যেন তিনি ছাত্রদের উদ্বুদ্ধ করতে এবং লেখাপড়া শেখাতে পারেন। নিজেকে গড়ে তোলার চেষ্টা সেই চেষ্টাটাই কিন্তু তাজউদ্দীন আহমদকে একটা জায়গায় পৌঁছে দিয়েছে। তানজিম আহমেদ সোহেল তাজ বলেন, এই স্কুলটি বঙ্গতাজ তাজউদ্দীন আহমদের নামে করা হয়েছে। তার আদর্শের কিছু স্পর্শ আসতে হবে আমাদের সবার মধ্যে। কাপাসিয়ার সকলের গর্ব এই যে আজকের সারা বিশ্বের মানচিত্রে কাপাসিয়ার পরিচিতি এসেছে কেন? বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জন্মভূমি এই কাপাসিয়ায়। এটা আমাদের জন্য গর্বের বিষয়।  এই মাটিতে জন্মো যদি বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর হিসেবে আমাদের মুক্তির আন্দোলন এবং আমাদের মুক্তিযুদ্ধ স্বাধীনতা আন্দোলনে নেতৃত্ব দিতে পারে তাহলে তোমরা পারবেনা কেন? তোমরাও এই দেশের এই মাটির জন্য কাজ করতে পারবে ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্দেশ্য তিনি একথা বলেন।সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মো. মফিজ উদ্দিন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আমানত হোসেন খান উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং সাবেক এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা মুহম্মদ শহীদুল্লাহ, উপজেলা নির্বাহী অফিসার একেএম গোলাম মোর্শেদ খান ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আসাদুজ্জামান।বিদ্যালয়ের ৫০ বছর পূর্তি উৎসব উপলক্ষে মেধাবীদের মাঝে ক্রেস্ট উপহার তুলে দেন বঙ্গতাজ কন্যা সিমিন হোসেন রিমি এবং বঙ্গতাজ পুত্র তানজিম আহমদ সোহেল তাজ।
আলোকিত প্রতিদিন/ ০৬ মার্চ, ২০২২/ মওম

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here