সবুজ সরকার
লৌহজং নদীর টাঙ্গাইলের অংশ দীর্ঘদিন ধরে কচুরিপানায় ভরে আছে। চলাচল করতে পারছে না কোনো নৌযান। কচুরিপানায় ভরা থাকায় পানিপ্রবাহ বাধাগ্রস্থ হয়ে মরে যাচ্ছে নদীটি। বিভিন্ন স্থানে নদী পরিণত হয়েছে ভাগাড়ে। এতে হুমকিতে পড়েছে জীববৈচিত্র্য। মাছের উৎপাদন কমে যাওয়ায় জেলেদের জীবন-জীবিকাও অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। নদীর উৎসমুখে বাঁধ, দখল ও দূষণে এক সময়ের ক্ষরস্রোতা এই নদী আজ মৃতপ্রায়। প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২০১৬ সালে শহর এলাকায় নদীর পাশে অবৈধ দখল উচ্ছেদ এবং খননকাজ করা হলেও আবার তা বন্ধ হয়ে গেছে। তবে নদীটি রক্ষা করে এর প্রবহমানতা ফিরিয়ে আনার দাবি করেছে এলাকাবাসী। সরেজমিনে নদীর গতিপথের কয়েকটি স্থানে দেখা যায়, নদীর দুই পাশে অবৈধ দখল করে গড়ে উঠেছে পাকা-আধাপাকা অনেক স্থাপনা। ফলে বিভিন্ন স্থানে নদী পরিণত হয়েছে সরুখালে। আর খনন না করায় নদীর বুক ভরাট হয়ে গেছে। এ ছাড়া ধলেশ্বরীর উৎসমুখে বাঁধ দেওয়ায় স্বাভাবিক পানিপ্রবাহ বাধাগ্রস্থ হচ্ছে। টাঙ্গাইলের পশ্চিম আকুর-টাকুরপাড়ার আব্দুল কাদের জানান, নদীর পাশে অনেক মানুষ অবৈধভাবে বাড়িঘর করেছে। নদী এখন আর নদী নেই। তা ছাড়া নদীতে নিয়মিত ময়লা-আবর্জনা এবং তরল বর্জ্য ফেলায় নদীতে মাছ থাকে না। নদীর পানিতে খুবই দুর্গন্ধ। নদীর জায়গা দখল করে বিক্রি ও বাড়িঘর বানিয়ে ভাড়াও দিচ্ছে অনেকে। পানি উন্নয়ন বোর্ড টাঙ্গাইলের নির্বাহী প্রকৌশলী মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম জানান, ‘লৌহজংয়ের অবস্থা বর্তমানে শোচনীয়। নদী দখল ও দূষণ চলছেই। তবে নদী রক্ষায় ১৬৫ কোটি টাকার একটি উন্নয়ন প্রকল্পের প্রস্তাব পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন পেলে কাজ শুরু হবে।
আলোকিত প্রতিদিন/ ১৩ মার্চ, ২০২২/ মওম