প্রতিনিধি,নোয়াখালী
নোয়াখালী ফেনী মহাসড়ক নির্মাণ প্রকল্পের অধীনে বেগমগঞ্জ থানার রসুলপুর অংশে খরিদা সম্পত্তি একোয়ার না করে এবং কোনরূপ নোটিশ প্রদান ছাড়াই নোয়াখালী সড়ক বিভাগ মোস্তফা কামালের বাড়ির সামনের অংশ উচ্ছেদ করার অভিযোগ ওঠেছে। বাড়ির সামনের অংশের ভাঙ্গার ফলে তিন তলা বিশিষ্ট ভবনটি ঝুঁকির সম্মুখীন বলে জানান ভুক্তভোগী মোস্তফা কামাল। এতে চরম আতঙ্কে দিন কাটছে ভুক্তভোগীর পরিবারে। বেআইনিভাবে ভাঙ্গার ফলে ক্ষতিপূরণ ও সম্পত্তি একোয়ার না করায় মোস্তফা কামাল জেলা প্রশাসক নোয়াখালীর বরাবর গত ২৮ ফেব্রুয়ারি একটি অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগ সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, ১৭৭ ও ১৭৮ দাগে মোট ভূমি ৭৯ শতাংশ। উক্ত ৭৯ শতাংশ ভূমি হতে সরকার ১৯৫০/৫১ সালে রাস্তার প্রয়োজনে ৩৩ শতাংশ ভূমি একোয়ার করে সীমানা পিলার স্হাপন করে দেয়।বাকী ৪৬ শতাংশ ভূমিতে অভিযোগকারী মোস্তাফা কামাল গংরা সুদীর্ঘ কাল ধরে সুখে শান্তিতে বসবাস করে আসছেন।বাড়ির সকল কাগজ পত্রাদি, রেকর্ড, খতিয়ান,জমাখারিজ হালনাগাদ থাকার পরেও ভাংচুরের হাত থেকে নিস্তার মেলেনি।সড়ক বিভাগের এমন কার্যক্রমে হতাশা ক্ষোভ বিরাজ করছে স্থানীয় জনমনে।নোয়াখালী ফেনী ফোরলেন মহাসড়কটির ফোরলেন ক্ষতিপূরণ বাবদ সরকার ১০০ কোটি টাকা ছাড় করে। বিধি মোতাবেক ক্ষতিপূরণের টাকা দিয়ে উচ্ছেদের বিধান থাকলেও মোস্তফা কামালের বেলায় এর ব্যর্তয় ঘটেছে বলে মনে করেন ভুক্তভোগী অভিযোগকারী। এবিষয়ে নোয়াখালী সড়ক ও এবং জনপথের নির্বাহী প্রকৌশলী ড.আহাদ উল্যার সাথে কথা বললে তিনি বিষয়টি জানা নেই বলে জানান এ প্রতিবেদককে।
আলোকিত প্রতিদিন/ ১৩ মার্চ, ২০২২/ মওম