আবু সায়েম, কক্সবাজারঃ
পরিবেশ, বন এবং জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার এমপি বলেছেন, বনজসম্পদ রক্ষায় বনবিভাগ, প্রশাসন এবং স্থানীয় জনগণসহ সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ভূমিকা পালন করতে হবে। এমনকি যারা বনজসম্পদ ধ্বংসে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে হবে। তিনি আরো বলেন,স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা বিভিন্ন ঘটনায় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত।বনবিভাগের জায়গা জবরদখমুক্ত,সরকারি সম্পদ রক্ষাসহ বিভিন্ন কাজে সহযোগিতা করতে তিনি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের আহ্বান জানান। বনজসম্পদ এবং বন রক্ষায় বনবিভাগের পাশাপাশি স্থানীয় মানুষদের সচেতন হয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। অবৈধভাবে বালি উত্তোলনের মাধ্যমে পাচারকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর হুশিয়ারি প্রদান করেন তিনি। ১৪ই মার্চ সোমবার কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগ কর্তৃক আয়োজিত চকরিয়া উপজেলার মেদাকচ্ছপিয়া ও ফাঁসিয়াখালী সহ-ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যদের সাথে মতবিনিময় সভায় বেগম হাবিবুন নাহার এম.পি প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে প্রধান বনসংরক্ষক আমির হোসাইন চৌধুরী বলেন, বনভূমি জবরদখল মুক্ত, বনজসম্পদ রক্ষায় সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। প্রত্যেক ব্যক্তিতকে তার নিজ নিজ জায়গায় ভূমিকা পালন করতে হবে। সরকারি সম্পদ রক্ষার্থে সচেতন হতে হবে। বনবিভাগ বিভিন্ন বহুমুখী কাজের মাধ্যমে সরকারি সম্পদ এবং বনজসম্পদ রক্ষায় স্বতঃস্ফূর্ত ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন।বন্যপ্রাণী রক্ষায় অনেক বনকর্মী প্রাণ হারিয়েছেন।তারপরও আমরা থেমে নেই। বন্যপ্রাণী ও বন্যহাতি রক্ষায় জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম এবং চালিয়ে যাচ্ছি। তিনি আরো বলেন, ইতোমধ্যে মাঠ পর্যায়ের বনকর্মীদের রাত্রিকালীন টহল জোরদারে কড়াকড়ি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।জনসচেতনতামূলক সভার আয়োজন, লিফলেট বিতরণের মাধ্যমে জনগণকে বন্যহাতি এবং বন্যপ্রাণী রক্ষায় এগিয়ে আসার আহ্বান জানানো হয়। বন্যহাতি দ্বারা কারো ফসল বা জীবনহানি ঘটলে ক্ষতিপূরণেরও ব্যবস্থা আছে ব’লে জানান প্রধান বনসংরক্ষক। মেধাকচ্ছপিয়া জাতীয় উদ্যান প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম অঞ্চলের বনসংরক্ষক বিপুল কৃষ্ণ দাস।উক্ত মতবিনিময় সভায় স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোঃ আনোয়ার হোসেন সরকার। সভায় সভাপতির বক্তব্যে চট্টগ্রাম অঞ্চলের বনসংরক্ষক বিপুল কৃষ্ণ দাস বলেন, বনভূমি ও বনজসম্পদ রক্ষায় প্রশাসন সহ স্থানীয় জনগণ কে সাথে নিয়ে কাজ করবো। বনকর্মীদের নিরাপত্তা প্রদান সহ তাদের কাজের গতি আরো বেশী তরান্বিত করা হবে। তিনি আরো বলেন, মেধাকচ্ছপিয়া এবং ফাঁসিয়াখালী সহ- ব্যবস্থাপনার কমিটির সদস্যরা বনজসম্পদ এবং বনরক্ষার ক্ষেত্রে তাদের স্বতঃস্ফূর্ত ভূমিকা সত্যি প্রশংসার দাবিদার। ভবিষ্যতে বনজসম্পদ ও সরকারি সম্পদ রক্ষায় বর্তমান কমিটি আরো বেশি তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। উক্ত মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন চকরিয়া পেকুয়া আসনের সাংসদ সদস্য জাফর আলম।সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মোঃ আবু সুফিয়ান, নেচার কনজারভেশন ম্যানেজমেন্ট (নেকম) এর সিনিয়র ডিরেক্টর রাশিদুজ্জামান আহমদ, কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোঃ সারওয়ার আলম, চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জেপি দেওয়ান,জোয়ারিয়ানালা রেঞ্জ কর্মকর্তা সুলতান মাহমুদ টিটু, বাঘখালী রেঞ্জ কর্মকর্তা সরওয়ার জাহান, ফুলছড়ি রেঞ্জ কর্মকর্তা ফারুক আহম্মদ বাবুল,ঈদগড় রেঞ্জ কর্মকর্তা মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান, ফাঁসিয়াখালী রেঞ্জ অফিসার মোঃ মিজানুর রহমান,,বনকর্মী,স্টাফও ভিলেজারসহ সিপিজি সদস্যবৃন্দ।
আলোকিত প্রতিদিন/ ১৪ মার্চ, ২০২২/ মওম