সোহেল রানা চৌধুরী
সকাল থেকেই ঢাকামুখী যানবাহনের চাপ বেড়েছে দৌলতদিয়া ঘাটে। ঘাট থেকে গোয়ালন্দ পদ্মার মোড় পর্যন্ত ৬ কিলোমিটার লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে আছে শত শত যানবাহন। যার বেশির ভাগই পণ্যবাহী ট্রাক। প্রচণ্ড গরমে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ফেরির অপেক্ষায় বসে থেকে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন রাজধানী ঢাকামুখী যাত্রী এবং যানবাহন চালকেরা। বেশি কষ্ট সহ্য করতে হচ্ছে বয়স্ক ও শিশুদের। সরেজমিনে ১৪ মার্চ সোমবার বেলা ১১টার দিকে ঘাট এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ফেরিঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে গোয়ালন্দ পদ্মার মোড় পর্যন্ত ৬ কিলোমিটার দীর্ঘ গাড়ির লাইন। সিরিয়ালে বসে থেকে ফেরিতে ওঠার জন্য অপেক্ষার প্রহর গুনছে যাত্রী ও চালকেরা। তবে ঘাট কর্তৃপক্ষ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে যাত্রীবাহী বাস এবং পচনশীল বোঝাই ট্রাক পারাপার করছে। অপেক্ষমান ট্রাকচালকদের সাথে আলাপকালে কুষ্টিয়া থেকে ঢাকাগামী মো. হাতেম আলী বলেন, সোমবার ভোর ৬টায় দৌলতদিয়া ঘাটে এসেছি। এখন বেলা পৌনে ১২টা বাজে। ফেরির সিরিয়াল পাইনি। সময় মতো ঢাকা পৌঁছাতে না পারলে মহাজন ক্ষতিগ্রস্ত হবে। বরিশাল থেকে ছেড়ে আসা কাগজের কাটুন বোঝাই ট্রাকচালক হেলাল মাহমুদ বলেন, গত রোববার রাত ১২টার দিকে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে সিরিয়ালে আটকে ছিলাম। সোমবার ১১টার দিকে ফেরিতে ওঠার সিরিয়াল পেয়েছি। রাতে অনেক কষ্ট পোহাতে হয়েছে।এসবি পরিবহনের যাত্রী মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, বড় ছেলে ঢাকার মিরপুরে থেকে লেখাপড়া করে। তাকে দেখতে পরিবারসহ ঢাকায় যাচ্ছি। সকাল সাড়ে ৮টায় ঘাটে এসে পৌঁছেছি। এখন ১১টা বাজে ফেরিতে উঠলাম। দৌলতদিয়া ঘাটে এলেই সিরিয়ালে আটকে বসে থাকতে হয়। প্রচণ্ড গরমে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থেকে চরম কষ্ট হয়। ঢাকায় চিকিৎসার জন্য যাচ্ছেন মাদারীপুরের শাবানা বেগম। তিনি বলেন, আমি বাসে করে ঢাকা যাচ্ছি। দৌলতদিয়া ঘাটে এসে বাস বসে আছে প্রায় দেড় ঘণ্টার বেশি। বিআইডব্লিউটিসি’র দৌলতদিয়া ঘাট ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মো. শিহাব উদ্দিন জানান, বর্তমানে দৌলতদিয়া পাটুরিয়া নৌরুটে ১৯টি ফেরি যানবাহন এবং যাত্রী পারাপারে চলাচল করছে। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে যাত্রীবাহী বাস ও পচনশীল পণ্য বোঝাই ট্রাক পার করা হচ্ছে। যানবাহনের সিরিয়াল সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কমবে বলে আশা করছি।
আলোকিত প্রতিদিন/ ১৪ মার্চ, ২০২২/ মওম