মাইনুল হাসান মজনুঃ
বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে থানা পুলিশের উপর হামলা ও আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় থানা পুলিশের এএসআই জানে আলম বাদি হয়ে ২০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে আটককৃত ৫জনকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
থানা পুলিশ সুত্রে জানাগেছে, সারিয়াকান্দি থানার সহকারি উপ-পরিদর্শক (এএসআই) জানে আলম ও কনস্টেবল নাজমুল জোরগাছা বাজারে ৬ মাসের সাজাপ্রাপ্ত আসামি রেজ্জাককে আটক করেন। আসামি থানায় নিয়ে যাওয়ার সময় ইউপি সদস্য সোহেল রানা হামিদের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ এবং স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীরা পুলিশকে মারপিট করে হ্যান্ডকাপসহ সাজাপ্রাপ্ত আসামি রেজ্জাককে ছিনিয়ে নেয়। তাদের হামলায় দুই পুলিশ সদস্য আহত হন। পরে অতিরিক্ত পুলিশ পৌছে আহত দুই পুলিশকে উদ্ধার করেন। এরপর পুলিশ অভিযান চালিয়ে রাত সাড়ে ১১ টায় আসামি রেজ্জাককে পুনরায় গ্রেফতার করে। এসময় পুলিশের উপর হামলার অভিযোগে ইউপি সদস্য সোহেল রানা হামিদ, ভেলাবাড়ি ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাাপতি সোহেল রানা, ভেলাবাড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগনেতা ওমর আলী, এবং স্বেচ্ছাসেবক লীগের কর্মী শাফিকে পুলিশ গ্রেফতার করে। অপরদিকে স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শী সুত্রে জানা গেছে, গতকাল রাত ৮টার দিকে সারিয়াকান্দি থানার এএসআই জানে আলম ও কনস্টেবল নাজমুল জোড়গাছা গ্রামের ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি রেজ্জাককে গ্রেফতার করেন। এসময় রেজ্জাক ও তার সজনরা পুলিশের কাছে ওয়ারেন্টের কপি দেখতে চান। ওই সময় জানে আলম ও নাজমুল ওয়ারেন্টের কপি দেখাতে না পারায় তাদের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে হাতাহাতির এক পর্যায়ে হ্যান্ডকাপ পরা অবস্থায় আসামি রেজ্জাক ছিনিয়ে নিতে সক্ষম হয়।এবং এএসআই জানে আলম এবং কনস্টেবল নাজমুল পরেন জনতার তোপের মুখে। পরে চন্দনবাইশা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র এবং সারিয়াকান্দি থানা পুলিশ এসে আসামি রেজ্জাককে না পেয়ে নবনির্বাচিত ইউপি সদস্য সোহেল রানা হামিদ, আওয়ামী লীগ নেতা ওমর আলী,স্বেচ্ছাসেবললীগনেতা সোহেল রানা এবং সাফিকে আটক করে রেখে বলেন,ছিনতাই হওয়া আসামি রেজ্জাককে এনে দিলে এদেরকে ছেড়ে দেওয়া হবে। পরে স্থানীয়রা খোজাখুজি করে ভেলাবাড়ী থেকে রেজ্জাককে ধরে এনে পুলিশের কাছে জমা দেওয়া হলেও আর কাউকে ছেড়ে না দিয়ে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে হয়রানি করছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।সারিয়াকান্দি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন পুলিশের উপর হামলা করে আসামি ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনায় ২০ জনের বিরুদ্ধে এএসআই জানে আলম বাদী হয়ে মামলা করেছেন।গ্রেফতারকৃত আসামিদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।