প্রতিনিধি, শাজাহানপুর(বগুড়া)ঃ
বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার আমরুল ইউনিয়ন নির্বাচন কালীন সময়ের মেম্বার প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করাই অন্য মেম্বার সমর্থিত গ্রুপের মাঝে রেশারেশি দ্বন্দ্ব ও পায়তারা করেছে ভোটে হেরে গিয়ে। জানাগেছে, উপজেলার আমরুল ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড নব-নির্বাচিত ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম নয়ন বিপুল ভোটে জণগনের রায় পান অন্যদিকে প্রতিদ্বন্দ্বি প্রাথী ইমদাদুল হক হেরে যান নয়নের কাছে। এনিয়ে এলাকার মাঝে অসস্তোষ রিরাজ করছে। স্থানীয়রা জানান, অসহায় কৃষকের সিমগাছের মাচা কেটেদেয়া, মরিচ ক্ষেতের আবাদ নষ্ট করা, একে অন্যের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে দেয়া, প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করা। তারই রেশ ধরে এলাকায় গতকাল ২৪ মার্চ রাত্রি ৯টার সময় হাদি মিয়া(২৭) পিতা নায়েব আলী হাসুয়া নিয়ে এলাকায় ঘুরলে স্থানীয় মানুষের নজরে পড়ে। পরে মেম্বার প্রার্থী ইমদাদুল হকসহ প্রতিবেশিরা তাকে খুটির সাথে পিছনে দুহাত বেধে আটক রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে জানায় আমি হাসুয়া নিয়ে আসিনি এটা সাইদুল নামের এক ছেলের এমনি আমি দেখতে নিয়েছিলাম আমি মারার জন্য নেয়নি আবার এটাও বলছে হাসুয়া কামরুল দিয়েছে। তারপরে ইমদাদুল হক এর অপর সহযোগি কামরুল ইসলাম নামে এক ব্যাক্তি ৯৯৯-এ নম্বরে ৩বার ফোন দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে রাত্রি ৩টায় এসআই মিজান গিয়ে হাদিকে উদ্ধার করে। অন্যদিকে মেম্বার প্রার্থী ইমদাদুল হক জানান, আমি আরএফএল কোম্পানীতে বেসরকারী হিসেবে চাকুরি করি সে সুবাদে গতকাল রাত্রি আনুমানিক ৮টার সময় ছুটি শেষে বাড়িতে আসছিলাম পথের মাঝে দেখি আমার পিছন থেকে একটি মটর সাইকেল আমাকে ফলো করছে এর কিছুক্ষন পরেই দেখি আরও ৭/৮ মটর সাইকেলসহ আমাকে ধাওয়া করছে। নিজের মটর সাইকেল ফেলে দিয়েই দেখছি মানিক এবং আসিফ নেতৃত্ব দিচ্ছে। পরে কোন রকম প্রাণ নিয়ে পালিয়ে গিয়ে থানা পুলিশের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করলে এস আই শামীম হাসান নিদ্দিষ্ট একটা স্থানের নাম বললে সেখানে গিয়ে দাঁড়ায় সেখান থেকে বাড়িতে না নিয়ে মেম্বার নয়নের আফিসে নিয়ে যায় পুলিশ। সে আরও বলে আমাকে হত্যার করার উদ্দেষ্যে পিছনে লেগেছে। এঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে ইমদাদুল জানায়। আমরুল ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি ও ৪নং ওয়ার্ডে নব-নির্বাচিত ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম নয়ন জানান, ওরা আমাকে মারতে উঠে পড়ে লেগেছে প্রশাসনের কাছে নিরাপত্তা চেয়ে মোবাইল লাইভ কর এসআই শামীম হাসান জানান, ইমদাদুল ফোনে বলে স্যার ”আমাকে বাচান আমাকে মেরে”ফেলবে তখন আমি তাকে নগর হাটে ওবাইদুর মেম্বারের আফিসে যেতে বলি। পৌছার পরে ঘটনা সত্যতা নেই এক ধরনে সাজানো নাটক ইমদাদুলের। তবে এ নাটক সৃষ্টিকারীদের আইনের আওতায় আনতে কাজ করছে থানা পুলিশ।
আলোকিত প্রতিদিন/ ২৫ মার্চ, ২০২২/ মওম