ব্রাসেলসে পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটো সম্মেলনে বক্তব্য রেখেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। বৃহস্পতিবার দেওয়া এই ভাষণে তিনি বলেছেন, ইউক্রেনে রাশিয়ার অব্যাহত আগ্রাসনের মধ্যে ন্যাটো যেরকম ঐক্যবদ্ধ হয়েছে তা আগে কখনোই ছিল না। বাইডেন বলেন, তিনি ইউক্রেন ইস্যুতে চলমান পদক্ষেপ বহাল রাখতেই প্রতিশ্রুতিবদ্ধ নন, বরং আরও পদক্ষেপ বাড়াতে চান তিনি। ব্রাসেলসে দেওয়া ভাষণে ইউক্রেনে আরও দুইশ’ কোটি সামরিক সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। একই সঙ্গে যুদ্ধে আক্রান্ত ইউক্রেনীয় নাগরিকদের জন্য একশ’ কোটি ডলার বারতি সহায়তার ঘোষণা দেন তিনি। রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যে চলমান কূটনৈতিক আলোচনার বিষয়ে জো বাইডেন বলেন, মস্কোকে কোনও অঞ্চল ছেড়ে দেবে কিনা তা চূড়ান্তভাবে কিয়েভই নির্ধারণ করবে। তিনি বলেন, রাশিয়া যদি ইউক্রেনে জৈব অস্ত্র ব্যবহার করে তাহলে যুক্তরাষ্ট্র তার জবাব দেবে। রাশিয়াকে জি২০ জোট থেকে বাদ দেওয়া উচিত বলেও মন্তব্য করেন জো বাইডেন। এ বৈঠকে ইউক্রেনকে অংশ নিতে দেওয়া উচিত। নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রাশিয়াকে হামলা চালানো থেকে বিরত রাখা যাচ্ছে না বলে এক সাংবাদিকের মন্তব্যের জবাবে বাইডেন বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞা দিয়ে কখনোই বিরত রাখা যায় না’। তিনি বলেন, তার বিশ্বাস সময়ের সঙ্গে নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখা হলে এর ফলে এক সময় রাশিয়াকে আগ্রাসন থামাতে বাধ্য করবে। রুশ আগ্রাসনে চীনের সম্ভাব্য সম্পৃক্ততা নিয়েও কথা বলেন বাইডেন। তিনি বলেন, চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে তিনি জানিয়ে দিয়েছেন যে, চলমান হামলায় মস্কোকে সহায়তা দিলে বেইজিংকে পরিণতি ভোগ করতে হবে। বাইডেন বলেন, ‘আমি হুমকি দেইনি কিন্তু স্পষ্ট করে বলেছি-রাশিয়াকে সহায়তার পরিণতি তিনি বুঝতে পেরেছেন। চীন বুঝতে পেরেছে তাদের অর্থনৈতিক ভবিষ্যত রাশিয়ার চেয়ে পশ্চিমের সঙ্গেই বেশি সম্পৃক্ত।’
আলোকিত প্রতিদিন/ ২৫ মার্চ, ২০২২/ মওম
সূত্র: ডয়চে ভেলে/ বিবিসি