মুহিবউল্লাহ চৌধুরীঃ-
ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ উপজেলাধীন ৮ নং মালিয়াট ইউনিয়নের তত্ত্বীপুর গ্রামে প্রশাসনের বিধিনিষেধ অমান্য করে সরকারি রাস্তা তৈরির কাজে বাধা প্রদান করে জমির মালিকানা দাবি করে ভোগ দখলে রেখেছেন প্রভাবশালী মহলের এক ব্যক্তি। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে সরজমিনে তদন্ত করতে গেলে বেড়িয়ে আসে নানাবিধ কুকর্মের চিত্র। তত্বীপুর গ্রামে বসবাসরত সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের বেশ কয়েকজন বয়জৈষ্ঠ ব্যক্তি সাংবাদিকদের বলেন, আনুমানিক ২০০ শত বছর ধরে রাস্তাটি জনসাধারণরা তাদের চলাচল ও কৃষি জমির ফসল উত্তোলন,নদিতে যাওয়া আসা এবং সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের দায়ের লোকজন তাদের ধমীয় উপাসনলয় মালোপাড়া কালি মন্দিরে যাওয়ার জন্য ব্যবহার করে আসছে দীর্ঘদিন যাবৎ। কালিগঞ্জ থানার অন্তর্গত ১৬৭ নং তরতিপুর মৌজার আর.এস.১৪৩৮ দাগের সাথে লাগোয়া পূর্ব পাশে আর.এস. ১৪৩৯ দাগ এবং আর.এস ১৪৩৯ দাগের লাগোয়া পূর্ব পাশে সরকারি কার্পেটিং রাস্তা অবস্থিত। আর.এস. ১৪৩৮ ও আর.এস. ১৪৩৯ দাগের দক্ষিণাংশে থাকা ০৮ শতক জমিতে আনুমানিক ২শত বছর ধরে সবাই চলাচল করছে। তৎকালীন সময়ে ১৪৩৭ পূর্ব পাশে বসবাস করত আমির হোসেন I পশ্চিম পাশে বসবাস করত মোঃ শুকুর আলী (৩৫) পিং মৃত শহিদুল ইসলাম। এবং মোঃ আজিজুল ইসলাম ও আশরাফুল ইসলাম পিং মৃত আঃ রহিম। ২০ বছর পূর্বে দেবেন্দ্রনাথ এর আর. এস.১৪৩৯ দাগের ৩৮ শতাংশ জমি থেকে ৩৩ শতাংশ জমি ক্রয় করে শহিদুল ইসলাম ও আঃ রহিম। জমি ক্রয় সুত্রে ধরে চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দেওয়াতে বিপাকে পড়ে আমির আলী শহ গ্রামের জনসাধারণ। তৎকালীন সময়ে চলচল রাস্তা নিয়ে এলাকায় দাঙ্গা সৃষ্টি হলে গ্রামের তৎকালীন গণ্যমান্য ব্যক্তিদের মাধ্যমে একটি সালিশ বৈঠকে বসে সর্ব সিদ্ধান্তের অনুকূলে দেবেন্দ্রনাথ এর আর এস. ১৪৩৯ দাগের অবশিষ্ট ৮ শতাংশ জমি থেকে ৪ শতাংশ জমি ক্রয় করে আমির আলী এবং সাধারণ মানুষের চলাচলের সুবিধার জন্য ২ হাজার সালে নিজ দখলীয় জমির দুই পাশ্ব হইতে ৪ ফুট চওড়া করিয়া মোট ৮ ফুট চওড়ায় সবমোট ৪ শতাংশ জমি কালীগঞ্জ সাব-রেজেস্ট্রী অফিসে রাস্তা তৈরীর সুবিদাথে জেলা প্রশাসক ঝিনাইদহ বরাবর দানপত্র দলিল লিখিয়া রেজেস্ট্রী করেদেন । এর কিছুদিন পরে আর.এস. ১৪৩৮ দাগের সুধীর কুমার বিশ্বাস এর কাছ থেকে ১৬ শতাংশ জমি ক্রয় করে আঃ রহিম জমি বিক্রয় কালীন সময় সুধীর কুমার বিশ্বাস জনসাধারণের চলাচলের সুবিধার্থে ২ শতক জমি রাস্তার জন্য ছেড়ে দিয়ে বিক্রয় করে। সাম্প্রতিক সময়ে মৃত আঃ রহিম এর ছেলে মোঃ আজিজুল ইসলাম (২৮) ও আশরাফুল ইসলাম (৩০) সরকারি রাস্তাকে নিজেদের জমি দাবি করে অবৈধভাবে দখল করে বসতবাড়ি নির্মাণের কার্যক্রম শুরু করে জনসাধারণের চলাচল’কে বিভিন্নভাবে বাধা প্রয়োগ করছেন | তাদের অমানবিক আচরণ দেখে জনসাধারণ এবং বসবাসরত সংখ্যালঘু পরিবার এর সিদ্ধান্ত অনুকূলে পুনরায় রাস্তার জন্য ২১ সালে ১নং দাতা বলরাম বিশ্বাস পৈতিকসূত্রে পাওয়া জমির ৩৩ শতাংশ জমির মধ্য ২ শতাংশ। ২ নং দাতা আবু হাচান পৈতৃকসূত্রে পাওয়া জমি থেকে ০০.৮৩ শতাংশ,,, ৩ নং দাতা লিটন হোসেন পৈতৃকসূত্রে পাওয়া জমির ০০.৮৪ শতাংশ এবং আতিয়ার হোসেন পৈতৃকসূত্রে পাওয়া জমির ০০.৩৩ শতাংশ সহ সর্বমোট ৪ শতাংশ জমি রাস্তা তৈরির জন্য কালীগঞ্জ সাব-রেজেস্ট্রী অফিসে ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক বরাবর দান করেন | এতে জবর দখলকারীরা ক্ষিপ্ত হয়ে দাতা পক্ষদয়গণ কে প্রাননাশের হুমকি ও মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে প্রতিনিয়ত। আজিজ ও আশরাফুল তাদের বোন শাবানা কে কাজে লাগিয়ে পুরুষদের বিভিন্নভাবে হয়রানী করে চলেছে | গ্রামের লোকজন বিষয়টি ঝিনাইদহ ৪ আসনের সংসদ সদস্য জনাব আনারুল আজিম আনারের কাছে অবগত করলে তিনি নিজেই বিষয়টি সরোজমিনে গিয়ে পর্যবেক্ষণ করেন।এবং সাথে সাথে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শিবলী নোমান তাদের উপস্থিতিতে পুনরায় রাস্তায় মাটি ফেলে সরকারি ভাবে কাজ শুরু করেন এবং তাদেরকে সতর্ক করে দেন। ঘটনাস্থল থেকে সংসদ সদস্য চলে গেলে আজিজ ও আশরাফুলের বোন তাদের’কে ব্যঙ্গ করে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করে। তৎক্ষনাৎ বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে গণমাধ্যম কর্মীদের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে পড়েন স্বরবর্ণ শাবানা। নিজের পোশাক খুলে উপস্থিত লোকজন’কে হেয় করার চেষ্টা চালায়। বিষয়টি উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শিবলী নোমানী’কে জানালে তিনি বলেন,আইনেন ঊর্ধ্বে কেউ না। আমাদের সমাজ নিয়ে চলতে হবে, সামাজিক আইন অবমাননাকারী নির্দ্বিধায় আইনের চোখে অপরাধী তারা যত চেষ্টাই করুক বেয়াইনি ভাবে আইন অবমাননা করে কিছুই করতে পারবেন না। তিনি আরোও বলেন, আমার কর্মজীবনে দেখা মাননীয় সংসদ সদস্য কখনো অন্যায় ভাবে কোন কাজ সমাধান করেনি, তিনি বিষয়টি বুঝতে পেরে তাৎক্ষণিক মাটি মাটি ফেলার অনুমতি প্রদান করেন আর এটাই বহাল থাকবে এমন মন্তব্য করেন।
আলোকিত প্রতিদিন/ ২৮ মার্চ, ২০২২/ মওম