মোহাম্মদ জুবাইর
সাতকানিয়া মা ব্রিকফিল্ডে মালিক কর্তৃক শিশুশ্রমিকদের ১৯দিন ধরে গৃহবন্দী করে দানবীয় কায়দায় নির্যাতনের তথ্যসূত্র মতে সাংবাদিকটিম সরোজমিনে তাদের গৃহবন্দী অবস্থায় পায়। নির্যাতিতদের জিজ্ঞেস করলে উত্তরে তারা বলেন- তাদেরকে শারীরিক,মানসিকসহ সবরকম নির্যাতন করা হয়েছে যা কিনা স্ববিস্তারে একাধিক নিউজে উঠে আসে। যা সোসাল মিডিয়া,গণমাধ্যমসহ প্রসাশনের নজরে আসলেও এ পর্যন্ত শ্রমিকরা উদ্ধার হয়নি রহৎস্যজনক কারণেই। অপরদিগে,মালিকপক্ষ তার হীন অন্যায়,অপরাধ, অমানবিক কার্যকলাপ করেও তা আড়াল করার নিমিত্তে সবরকমের ক্ষমতার অপব্যবহারে করছে একের পর এক। এছাড়াও উক্ত ইটভাটায় সরকারি নির্দেশমতে ইটভাটা নিয়ন্ত্রিত আইন এবং নিয়ম-বৈধতার প্রশ্নে বিন্দুমাত্র পাওয়া যায়নি সরেজমিনে। শ্রমিকদের প্রতি অমানবিক,চরমমানবতার লঙ্ঘন,প্রশাসনের চোখেধুলো ও আইনের ভাবমূর্তিতে নেতিবাচক প্রভাব বিস্তারসহ জনমনে তীব্র ক্ষোভে এবং অমানবিক নির্যাতনের শিকার হয়েও এখনো পর্যন্ত নির্যাতিতদের কাজ করতে বাধ্য করছে মালিকপক্ষ। আজও পর্যন্ত ভুক্তভোগীদের একাধিকবার থানায় অভিযোগ করতে গিয়েও রহৎস্যজনক কারণে হয়নি এ পর্যন্ত কোন অভিযোগও। অতচ এখনো কর্মস্থলে রয়ে যাওয়া শ্রমিকদের স্বজনরা ফিরে পেতে চায় পরিবারের সদস্যদের যেকোনো মূল্যেই। কর্মস্থলে নির্যাতনের লোমর্ষক পরিস্থিতির শিকারের জেরে প্রতিটি মুহূর্ত কাটছে ভুক্তভোগী পরিবারের আর্তনাদ দুশ্চিন্তা,হতাশায়। আর ঘটে যাওয়া অনাকাঙ্ক্ষিত লোমহর্ষক ঘটনার বাস্তবতায় অস্বাভাবিক মানসিক আঘাত আর যন্ত্রণায়। অসহায় নিরুপায় শ্রমিকগুলোর নেই কোন স্বাধীনতা কিংবা ইচ্ছা-অনিচ্ছা অনুভূতি প্রকাশে বিন্দুমাত্র অধিকার। অতচ মধ্যযুগীয় কায়দায় মালিক এবং দালালের ফাঁদে পরে লোমহর্ষক পরিস্থিতির স্বীকার তাঁরা। প্রশ্ন শ্রমিক কেন নির্যাতিত? সমাধানের অযুহাতে মেহনতি শ্রমিকের লাঞ্ছিত এবং শত অবহেলিত ও নির্যাতিত কেন হবে বারবার? প্রশ্ন দেশ-জাতি বিবেকের কাছে? যাঁদের শ্রমেঘামে দমেদমে মেহনতে জীবন জীবীকার প্রয়োজনে দেশগড়ার অবদানে অংশীদার। বর্তমান উন্নয়নের অবদানেও অন্যতম ভুমিকায় ডিজিটাল বাংলাদেশের অহংকার।
আলোকিত প্রতিদিন/ ০২ এপ্রিল, ২০২২/ মওম