২০টি গরু ও অর্ধশত ছাগল-বেঁড়াসহ গাজীপুরে চোরাইপশুর খামারের সন্ধান

0
310
মোঃ সোহেল মিয়া 
ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশাল থানা পুলিশ শনিবার রাতে গাজীপুর মহানগরের গাছায় চোরাইগরু উদ্ধার অভিযানে এসে চোরাইপশুর খামারের সন্ধান পেয়েছে। সেখানে ২০টি গরু এবং অর্ধশতাধিক বেঁড়া-ছাগল পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় এলাকায় বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। পুলিশের অভিযান টের পেয়ে খামারের মালিক সাবদুল মন্ডল ও তার সহোদর কথিত সাংবাদিক নাহিদ সরকার পালিয়ে গেছে। জিএমপি গাছা থানা পুলিশ চোরাই খামারটি পাহারা দিচ্ছে। সেখান থেকে ত্রিশাল থানা পুলিশ ৩টি গরু ও জিএমপি সদর থানা পুলিশ অপর এক মামলায় আরো ৩টি গরু সনাক্ত করে নিয়ে যায়। অবশিষ্ট ১৪টি গরু গাছা থানা পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। অভিযানে অংশ নেয়া ত্রিশাল থানার এসআই শফিকুল ইসলাম জানান, ত্রিশাল থানায় গরু চুরির এক মামলায় গত শুক্র ও শনিবার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৫ জন গরুচোরকে গ্রেফতার করা হয়। চোরদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী গাছা থানা পুলিশের সহযোগিতায় শনিবার রাতে গাজীপুর মহানগরের ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর খাইলকুর পলাগাছ এলাকায় সাবদুল মন্ডলের বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। এসময় ওই বাড়ির ভেতর ২০টি গরু ও অর্ধশতাধিক বেঁড়া এবং ছাগল পাওয়া যায়। ত্রিশাল থানায় গ্রেফতারকৃত চোর ও গরুর মালিকের সনাক্ত অনুযায়ী সেখান থেকে ৩টি গরু উদ্ধার করে নিয়ে যান। স্থানীয়রা জানান, সাবদুল মন্ডলের বাড়িটি আবাসিক হিসেবে ভাড়া দেয়া হতো। সম্প্রতি বাড়িটি খালি করে দিয়ে প্রতিটি রুমে গরু, ছাগল এবং বেঁড়া এনে রাখা হচ্ছিল। পশুগুলো কোথায় থেকে আনা হচ্ছিল তা স্থানীয়দের জানা ছিল না। পুলিশের অভিযানের পর তারা জানতে পারেন, বিভিন্ন এলাকা থেকে চুরি করে এসব পশু ওই বাড়িতে এনে রাখা হচ্ছিল। রবিবার ওই বাড়িতে গিয়ে দেখা গেছে, বাড়ির সামনে প্রায় আট ফিট লম্বা সাইনবোর্ডে ‘সাংবাদিক নাহিদ সরকার ভিলা’ লেখা রয়েছে। এলাকার সাধারণ মানুষ ও আইনশৃংখলা বাহিনীর চোখকে ফাঁকি দিতেই এই সাইনবোর্ডের অন্তরালে চোরাইপশুর খামার গড়ে তুলা হয়েছিল। স্থানীয়রা আরো জানান, সম্প্রতি জিএমপি টঙ্গী পূর্ব থানায় একটি ধর্ষণ ঘটনার মামলার এজাহার নামীয় আসামী নাহিদ সরকার পালিয়ে বেড়ালেও রাতে এসে বাড়িতে অবস্থান করে থাকেন। শনিবার রাতে পুলিশের অভিযানের সময় নাহিদ সরকার ও তার ভাই সাবদুল মন্ডল পালিয়ে যান।
গাছা থানার ওসি মো. ইসমাইল হোসেন বলেন, চোরাইগরুর খামারের সন্ধানের খবর পেয়ে বিভিন্ন থানা থেকে গাছা থানায় যোগাযোগ করা হচ্ছে। শনিবার রাতেই জিএমপি সদর থানা পুলিশ গরুচুরির এক মামলায় আরো ৩টি গরু সনাক্ত করে নিয়ে গেছে। অবশিষ্ট ১৪টি গরু গাছা থানা পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। গাজীপুর মহানগর এবং জেলার আশপাশের থানা ছাড়াও পার্শর্বর্তী ময়মনসিংহ জেলার পাগলা, গফরগাঁও ও ভালুকা থানা এলাকায় সাম্প্রতিক গরুচুরির ঘটনায় গরুর মালিক এবং সংশ্লিষ্ট থানা থেকে গাছা থানায় যোগাযোগ করা হচ্ছে। বেঁড়া ও ছাগলগুলোও চোরাই কিনা তা এখনো জানা যায়নি।
আলোকিত প্রতিদিন/ ০৩ এপ্রিল, ২০২২/ মওম

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here