বনবিভাগের অভিযানে ১৫ শতক বনভূমি জবরদখল মুক্ত 

কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগের আওতাধীন ফুলছড়ি   রে‌ঞ্জের  মেধাকচ্ছপিয়া বিটের    সংরক্ষিত বনাঞ্চল জবরদখল করে নির্মাণাধীন একটা  পাকা ঘর  কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোঃ আনোয়ার হোসেন সরকারের নির্দেশে

সহকারী বনসংরক্ষক ডঃ প্রান্তোষ চন্দ্র রায়ের নেতৃত্বে   রেঞ্জ কর্মকর্তা মোঃ ফারুক বাবুলের  সহযোগিতায় অভিযান চালিয়ে ১৫ শতক বনভূমি জবরদখল মুক্ত করে  উচ্ছেদ করা হয়েছে। এতে করে সরকারী সম্পদ ভূমিদস্যুদের হাত থেকে উদ্ধার করা হয়েছে   প্রায় ১৫ শতক জমি। তবে অভিযানের সময় বনভূমি জবরদখলের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে   ভূমিদস্যু লুতফুর রহমান প্রকাশ লুতু মিয়াকে আটক করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে ।  ১২  এপ্রিল  ( মঙ্গলবার)  ফুলছড়ি রেঞ্জের মেধাকচ্ছপিয়া এলাকায় সহকারী বনসংরক্ষক ডঃ প্রান্তোষ চন্দ্র রায় এবং রেঞ্জ কর্মকর্তা মোঃ ফারুক বাবুলের  নেতৃত্বে  বিট কর্মকর্তা এবং স্টাফদের  সহযোগিতায় অভিযান পরিচালনা করে  অবৈধ ভাবে জবরদখল করে  সদ্য নির্মাণকৃত একটি পাকা  ঘর  উচ্ছেদ করে  জবরদখল মুক্ত  করা হয়। বিষয়টি অবগত  করেছেন ফুলছড়ি রেঞ্জ কর্মকর্তা মোঃ ফারুক বাবুল।  তিনি বলেন ভূমিদস্যুদের জায়গা হবে না,। যারা বন বিভাগের জমি জবরদখল  করছে তাদের আমরা কঠোর হাতে প্রতিরোধ করবো। বনবিভাগের জমিতে অবৈধভাবে নির্মাণকৃত স্থাপনা  সংরক্ষিত বনাঞ্চল জবরদখলের দায়ে  অভিযান চালিয়ে ১৫ শতক  জমি উদ্ধার করা হয়েছে । অভিযানে ঈদগাঁও, ফুলছড়ি, এবং ফাঁসিয়াখালী  বিট কর্মকর্তা  ,ভিলেজারগণসহ  স্টাফগণ  অংশ গ্রহণ ক‌রে। সংশ্লিষ্ট জড়িত ২ আসামির  বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা  নেওয়া হয়েছে  বলে জানিয়েছেন রেঞ্জ কর্মকর্তা মোঃ ফারুক বাবুল  । কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোঃ আনোয়ার হোসেন সরকার   বলেন, সরকারি বনভূমি উদ্ধারে বনবিভাগ সচেষ্ট রয়েছে।  সরকারি জমিতে কেউ স্থাপনা নির্মাণ  করলে উচ্ছেদ করা হবে  এবং জবরদখল কারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে বনভূমি রক্ষার্থে যথাযথ ভূমিকা পালন করবো। অভিযান চালিয়ে ভূমি জবরদখল এবং পাহাড়খেকোদের আইনের আওতায় আনা হবে। বন অপরাধ দমনে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান তিনি।