যুবলীগ সভাপতি দাউদ সম্রাট হত্যার আসামি শিমুল আটক

0
322
আব্দুল সাত্তার
চট্টগ্রাম জেলা সীতাকুন্ড ৪ নং ওয়ার্ড যুবলীগ সভাপতি দাঊদ সম্রাট হত্যাকান্ড ও ফেনী-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ০৫ টি ডাকাতি মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামি শিমুল’কে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম। গত ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ ইং তারিখে বিকাল ০৩.৪০ ঘটিকায় চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুন্ড ৪ নং ওয়ার্ড যুবলীগ সভাপতি দাঊদ সম্রাটকে কতিপয় দুস্কৃতিকারী হত্যার উদ্দেশ্যে ছোরা এবং কিরিচ দিয়ে নির্মম ও নৃশংসভাবে  বুক, পেট এবং শরীরের বিভিন্ন অংশে এলোপাথাড়িভাবে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। পরবর্তীতে স্থানীয়রা মুমূর্ষু সম্রাটকে সীতাকুন্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। উক্ত ঘটনায় ভিকটিমের মা জেবুন্নেসা বাদী হয়ে চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুন্ড থানায় ১৫ জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন যার মামলা নং- ০১, তারিখ ০১ জানুয়ারি ২০১৯ ইং ধারা-১৪৩/৩৪১/৩২৪/৩২৫/৩০৭/৩০২/৫০৬(২)/৩৪, পেনাল কোড, জিআর নং ১/১৯। ঘটনাটি সংগঠিত হওয়ার পর থেকে উপরোক্ত হত্যা মামলার সাথে জড়িত এজাহারনামীয় আসামীদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম ব্যাপক গোয়েন্দা নজরদারী এবং ছায়াতদন্ত শুরু করে। এ প্রেক্ষিতে গত ১৫ এপ্রিল ২০২২ইং তারিখ র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম উল্লেখিত মামলার আসামী ১। মোঃ মামুন প্রঃ ডাকাত মামুন (২২) এবং ২। মোঃ নুরুল হুদা (২৫)’দ্বয়কে আটক করে এবং বাকী পলাতক এজাহারনামীয় আসামীদের গ্রেফতারের কার্যক্রম অব্যাহত রাখে। এরই ধারাবাহিকতায় বিশেষ সংবাদের ভিত্তিতে গত ২৪ এপ্রিল ২০২২ইং তারিখ আনুমানিক  রাত ০৪.০০ ঘটিকায় র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম এর একটি আভিযানিক দল চট্টগ্রাম মহানগরীর পাহাড়তলী এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আসামী মোঃ নূর মোস্তফা শিমুল(৩১)কে আটক করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে উপস্থিত স্বাক্ষীদের সম্মুখে গ্রেফতারকৃত আসামী অকপটে স্বীকার করে যে, সে সীতাকুন্ড ৪ নং ওয়ার্ড যুবলীগ সভাপতি দাঊদ সম্রাট হত্যাকান্ডের সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত ছিলো এবং উল্লেখিত মামলার চার্জশীটভুক্ত ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসমী মর্মে স্বীকার করে। গ্রেফতারকৃত আসামীর স্বাকারোক্তী এবং সিডিএমএস পর্যালোচনা করে তার বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুণ্ড থানায় হত্যা ও ডাকাতিসহ সর্বমোট ০৬ টি মামলা পাওয়া যায়। উল্লেখ্য যে, ধৃত আসামীকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানা যায়, ফেনী থেকে চট্টগ্রাম শহরের সিটি গেইট পর্যন্ত ফেনী-চট্রগ্রাম মহাসড়কে সংগঠিত ডাকাতি কার্যক্রমে সে অন্যতম মূলহোতা হিসেবে কাজ করেছে এবং সাম্প্রতিক সময়েও সে কয়েকটি ডাকাতির কাজ সংগঠিত করেছে। বেশীরভাগ সময়ে সে এই এলাকায় ডাকাতি কার্যক্রম সংঘটিত করে গা ডাকা দেওয়ার জন্য চট্টগ্রাম শহরে এসে ট্রাক অথবা লরী চালায় এবং নির্দিষ্ট সময় পর উক্ত ডাকাতি কার্যক্রমে পুনরায় নিজেকে জড়ান। গ্রেফতারকৃত আসামী সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
আলোকিত প্রতিদিন/ ২৫ এপ্রিল ,২০২২/ মওম

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here