মানিকগেঞ্জের পাটুরিয়া ঘাটে ফেরি পারের অপেক্ষায় যানবাহনের লম্বা সারি। বেলা বাড়ার সাথে সাথে যাত্রীবাহী বাসের চাপ বেড়েছে পাটুরিয়া ঘাটে। তবে দুই ঘাটে প্রায় ৭ কিলোমিটার যাত্রীবাহী বাস, ট্রাক এবং কাভাডভ্যান, ছোট গাড়ি পারের অপেক্ষায় রয়েছে। ঈদ উপলক্ষে দেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের ২১টি জেলার কিছু মানুষ আগেই ফিরতে শুরু করেছে। যার কারণে পাটুরিয়া ঘাট এলাকায় সাভাবিকের চেয়ে কিছুটা চাপ বেড়েছে যাত্রীবাহী বাস ও ব্যক্তিগত ছোট গাড়ির। আরিচা ঘাটে ৪টি ফেরি দিয়ে যানবাহন পারাপার করা হত। ২৭ এপ্রিল বুধবার সকালে একটা ফেরি নষ্ট হওয়ার কারণে ট্রাকের লম্বা সারি পরেছে। যশোরের যাত্রী হেলেনা বেগম বলেন, ঈদে অফিস-আদালত ছুটির আগেই বাড়ি যাচ্ছি ছেলে মেয়েরে নিয়ে। যাতে বাড়ি যেতে সিমাহীন দুর্ভোগে পরতে না হয়। তার পরেও ফেরির জন্য এই গরমে ছেলে মেয়ে নিয়ে ২ ঘন্টা যাবত বসে আছি। জানি না কখন পার হতে পারব। ট্রাক চালক রাব্বি মিয়া বলেন, কাল বিকেলে ট্রাকে নিয়ে পারের জন্য বসে আছি। আজ বেলা সাড়ে ১২টা বাজে এখন প্রর্যন্ত ফেরিতে উঠতে পারলাম না। মালনিয়ে ফরিদপুর যাব। মহাজনের মাল পৌছিয়ে আবার ফিরতে হবে। পত্রিকায় দেখলাম ঈদের ৫ দিন আগে থেকে ট্রাক পারাপার করবে না। এবার পরিবার ছাড়া একা রাস্তায় ঈদের দিন কাটাতে হয় নাকি জানি না। বিআইডব্লিটিসির আরিচা কার্যালয়ের উপ-মহাব্যবস্থাপক শাহ মো. খালেদ নেয়াজ জানান, ঈদ উপলক্ষে দেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের কিছু মানুষ আগেই ফিরতে শুরু করেছে। যার কারণে ঘাট এলাকায় যানবাহনের কিছুটা চাপ বেড়েছে। তবে আমাদের ১৮টি ফেরি দিয়ে যানবাহন পারাপার করছি। আশা করছি সন্ধার মধ্য পাটুরিয়া ঘাট এলাকা সাভাবিক হয়ে যাবে। তিনি আরও বলেন, অরিচা ঘাটে ৩টি ফেরি দিয়ে যানবাহন পারকরা হত। সকালে একটি ফেরি নষ্ট হয়ে যায়। সে কারণে ঘাট এলাকায় ট্রাকের কিছুটা চাপ রয়েছে। আশা করি বিকেলের মধ্য ফেরিটিকে মেরামত করে পারাপার শুরু করা যাবে। উপ মহা ব্যবস্থাপক বলেন, জরুরি পণ্যবাহী ট্রাক ব্যতিত কাল থেকে, সব ধরনের ট্রাক পারাপার বন্ধ থাকবে বলেও জানান।
