সোহেল রানা চৌধুরী
পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ঘরমুখো হচ্ছে লাখো মানুষ। সড়ক ও নৌপথে কোনও রকম ভোগান্তি ছাড়াই এবার গন্তব্যে ফিরছেন তারা। তবে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথের লঞ্চের যাত্রীরা অভিযোগ করেছেন, অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের পাশাপাশি ধারণ ক্ষমতার দ্বিগুণ যাত্রী নেওয়া হচ্ছে। ৩০ এপ্রিল শনিবার সরেজমিন দৌলতদিয়া লঞ্চঘাটে দেখা যায়, পাটুরিয়া ঘাট থেকে ছেড়ে আসা একাধিক লঞ্চ ধারণক্ষমতার দ্বিগুণ যাত্রী নিয়ে দৌলতদিয়া ঘাটে আসছে। এদিকে এই নৌপথে চলাচলকারী অধিকাংশ লঞ্চই অনেক পুরনো। যাত্রীর নিরাপত্তায় প্রতিটি লঞ্চে জীবন রক্ষাকারী বিভিন্ন সরঞ্জাম থাকার কথা থাকলেও তা নেই। এসব সমস্যার পরও অজ্ঞাত কারণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অনেকটা উদাসীন। যাত্রী নিরাপত্তার কথা না ভেবে একশ্রেণির অসাধু মালিক হাজার হাজার যাত্রী পারাপার করে লাভবান হচ্ছেন। পাটুরিয়া ঘাটে থেকে ধারণক্ষমতার দ্বিগুণ যাত্রী দৌলতদিয়া ঘাটে এসে ভিড়তে দেখা যায় এমভি নিপু-১ লঞ্চকে। ধারণক্ষমতা ১২০ জন থাকলে ওই লঞ্চে এসেছেন ২৫০-এর অধিক যাত্রী। ওই লঞ্চের মাষ্টারকে অতিরিক্ত যাত্রী পারাপারের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, ‘কাউন্টার থেকে টিকিট কেটে কর্তৃপক্ষ যে লোক দেবে, আমি তাই নিয়ে আসবো। আমার কিছু করার নেই ঝুঁকি নিয়ে অতিরিক্ত যাত্রী ওঠানো হচ্ছে ঘাটসূত্রে জানা যায়, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে অধিকাংশ লঞ্চের ১২০-১৪০ জন যাত্রী ধারণক্ষমতা রয়েছে। কিন্তু সেই নিয়মের তোয়াক্কা না করেই দ্বিগুণ যাত্রী ও ঝুঁকি নিয়ে পদ্মা নদী পাড়ি দিচ্ছে লঞ্চগুলো। পাটুরিয়া ঘাট থেকে আসা লঞ্চের যাত্রী কামরুল ইসলাম বলেন, ‘ঢাকা থেকে পাটুরিয়া ঘাট পর্যন্ত সড়কে কোনও ভোগান্তি ছাড়াই আসতে পেরেছি। ঘাটে এসেই লঞ্চে উঠতে পারছি। কিন্তু লঞ্চে স্বাভাবিকের চেয়ে অতিরিক্ত যাত্রী বহন করা হচ্ছে। নদী যদিও শান্ত কিন্তু মাঝনদীতে ভয় করে। কর্তৃপক্ষের উচিত অতিরিক্ত যাত্রী বহনের বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া।
আলোকিত প্রতিদিন/ ৩০ এপ্রিল ,২০২২/ মওম