মাধবপুরে জমি লিখে না দেয়ায় পুত্রদের দ্বারা পিতা নির্যাতিত

0
273
ত্রিপুরারী দেবনাথ তিপু
মাধবপুরে জমি লিখে না দেয়ায় দুই ছেলে ও নাতিদের হামলায় বৃদ্ধ পিতা হাছন আলী (৯৫) ও তার ছোট ছেলে আনোয়ার আলী (৩০) কে পিটিয়ে আহত করা হয়েছে। গত ৬ মে বিকেল ৫ টায় গোয়াছনগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের পারিবারিক সুত্রে জানাগেছে, উপজেলার তেলিয়াপাড়া গোয়াছনগর গ্রামের মো: হাছন আলীর ছেলে মনজর আলী ও রহম আলীর নিজ নামে জমি লিখে দেয়ার জন্য বাবা হাছন আলীকে চাপ প্রয়োগ করে। এতে অন্যান্য সন্তানকে না দিয়ে আগেই তাকে জমি লিখে দিতে অস্বীকার করায় মনজর আলী ও মো: রহম আলী ও নাতি রায়হান মিয়া, উজ্জ্বল মিয়া একত্রিত হয়ে মনজর আলী এবং রহম আলীর পিতা হাছন আলীকে মারপিট ও হত্যাচেষ্টা করে। এ সময় ছোট ছেলে আনোয়ার আলী এগিয়ে এলে তাকেও ক্ষুপিয়ে জখম করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়া হয়।  এ সময় আশপাশের লোকজন তাদেরকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। আহত বৃদ্ধ হাছন আলী জানান, “জমি লিখে দিতে বাড়িতে প্রতিদিন নানারকম অশান্তি লাগায় এবং জমি লিখে দেয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করে মনজর আলী ও রহম আলী। কিন্তু অন্য ছেলে মেয়েদের না দিয়ে শুধু তাদেরকে আগেই জমি লিখে দিতে চাপ প্রয়োগ করে মনজর আলী ও রহম আলী। এমনকি তারা আমার ছোট ছেলে আনোয়ার আলীর সাথে চরম দুর্ব্যবহার করে। সাথে মনজর আলীর দুই ছেলে ও আমার সাথে চরম দুর্ব্যবহার করে। ছেলেরা ও নাতিদের অত্যাচারে টিকে থাকাই খুব কঠিন। শান্তির লক্ষ্যে সব মুখ বুজে সহ্য করেছি। কিন্তু মনজর আলী ও রহম আলী ও দুই নাতি রায়হান ও উজ্জ্বল আমাকে মারপিট করে হত্যার চেষ্টা করে। এঘটনায় আমার ছোট ছেলে আনোয়ার আলী প্রতিবাদ করায় তাকে তারা কুপিয়ে জখম করে এবং আনোয়র আলী এবং তার ছোট দুই মেয়েকে হত্যা করে লাশ ঘুম করে ফেলবে বলে হুমকী দিচ্ছে মনজর আলী ও রহম আলী। এঘটনায় আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছি”।  আহত আনোয়ার আলী জানান, “প্রায় সমই আমার বড় দুই ভাই ও ভাতিজারা বাবার সাথে অসাদাচরণ করে। আমি এর প্রতিবাদ করলেই হত্যার হুমকি দেয় তারা। গতকাল জমি তাদের নামে লিখে দিতে বাবাকে চাপ প্রয়োগ করে মনজর আলী ও রহম আলী, এমতাবস্থায় বাবা অপারগতা প্রকাশ করতেই বাবাকে মারপিট করায় আমি বাধা দেই। এতেই তারা দেশীয় রামদা দিয়ে আমার মাথায় কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। এ ঘটনায় মামলা দায়ের প্রস্ততি চলছে” ।
আলোকিত প্রতিদিন/ ০৮ মে ,২০২২/ মওম

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here