রমজান মাস জুড়ে মুসল্লিদের পদচারণায় মুখরিত ছিল হায়া সোফিয়া  

0
320

রমজানজুড়ে মুসল্লিদের পদচারণায় মুখরিত ছিল হায়া সোফিয়া

পবিত্র রমজান মাস জুড়েই হায়া সোফিয়ায় ছিল নানা আয়োজন। এর আগে নামাজ আদায়ের জন্য খুলে দেওয়া হলেও করোনা মহামারি শুরুর পর স্বাস্থ্যবিধির কারণে গত দুই বছর ওই মসজিদে তারাবি নামাজ আদায় করা বারণ ছিল। ফলে মুসল্লিরা অন্য সময় নামাজ আদায় করলেও তারাবি নামাজ আদায়ের সুযোগ পাননি। অনেকদিন পর তারা এই ঐতিহ্যবাহী মসজিদে তারাবি আদায়ের সুযোগ পেলেন এবছর। হায়া সোফিয়া ঐতিহাসিক যুদ্ধ এবং পরিবর্তনের কেন্দ্রীয় প্রতীক হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে। স্মৃতিস্তম্ভটি সম্রাট, সুলতান এবং আধুনিক দিনের রাজনীতিবিদদের দ্বারা বারবার পরিবর্তনের খাতায় নাম লিখিয়েছে। বারবার পরিচয় বদলালেও অবকাঠামো ঠিক আগের মতোই আছে,  বদলেছে শুধু রঙের প্রলেপ।

অটোমান (ওসমান) বংশীয় সুলতান তৃতীয় মেহমেদ ১৪৫৩ সালে বাইজান্টাইন শাসকদের হাত থেকে ইস্তাম্বুল দখল করে নেন। এর আগ পর্যন্ত শহরটির নাম ছিল কনস্টান্টিনোপল। ইস্তাম্বুল দখলের পর বিজয়ী মুসলিম বাহিনী প্রথমবারের মতো গির্জার ভেতরে নামাজ আদায় করে। অটোমান শাসকরা এরপর হায়া সোফিয়াকে মসজিদে রূপান্তর করেন। মসজিদের চারপাশে চারটি মিনারও তৈরি করেন তারা। এর পরের কয়েকশো বছর ধরে হায়া সোফিয়া ছিল অটোমান মুসলমান সাম্রাজ্যের কেন্দ্রবিন্দু।

রমজানজুড়ে মুসল্লিদের পদচারণায় মুখরিত ছিল হায়া সোফিয়া

১৯৩৪ সালে তুরস্কে ধর্মনিরপেক্ষতা চালু করার প্রক্রিয়ায় মসজিদটিকে জাদুঘরে রুপান্তর করা হয়। হায়া সোফিয়া এখন তুরস্কের সবচেয়ে দর্শনীয় স্থান বলে স্বীকৃত। প্রতিবছর ৩৭ লাখের বেশি পর্যটক এটি দেখতে পাড়ি জমান তুরস্কে।

আলোকিত প্রতিদিন/ ০৯ মে ,২০২২/ মওম                                                                সূত্র: আল-জাজিরা, বিবিসি

 

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here