মোঃ মহিদ
মানিকগঞ্জের ঘিওরে দুই মেয়ে ও স্ত্রীকে হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারার জবানবন্দি দিয়েছেন ঘাতক আসাদুজ্জামান রুবেল। নিহত লাভলীর বাবা ও রুবেলের শ্বশুর সাহেজউদ্দিন মেয়ে এবং দুই নাতনি হত্যাকারীর সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেছেন। সোমবার সরেজমিনে দেখা যায়, স্বামী-সন্তান নিয়ে লাভলী যে ঘরে থাকতেন তার দরজায় তালা মারা। বাড়িটি নিরব নিস্তব্ধ তবে বিভিন্ন এলাকার লোকজন এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের কারণ জানতে খোঁজ নিচ্ছেন। হত্যা মামলার বাদী লাভলীর বাবা বলেন, আমি তো আমার নিষ্পাপ মেয়ে ও নাতনিদের পাবো না। আমি ঘাতক রুবেলের সর্বোচ্চ শাস্তি চাই। মেয়ের মুখের দিকে তাকিয়ে আমি বিভিন্ন সময় প্রায় ১০ লক্ষ টাকা দিয়েছি। তারপরেও তার অনেক টাকা ঋণ। এতেও মোটামুটি চলছিল। কিন্তু হঠাৎ রোগীর সমস্যা হওয়ায় স্থানীরা জরিমানা করে। ঋণ ও জরিমানার টাকার জন্যই মূলত এই ঘটনাটি ঘটেছে। দাঁতের চিকিৎসা নিতে আসা এক কলেজ শিক্ষার্থী বলেন, ঈদের কয়েকদিন আগে আমার একটি দাঁতের চিকিৎসা করতে গিয়ে রুবেল ৫টি দাঁত তুলে ফেলে। এতে লোকজন জড়ো হলে ভুল শিকার করে তিনি নিজ থেকেই ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা দিতে চেয়েছিলেন। এরপর এ বিষয়ে তার সাথে আর কোনো কথা হয়নি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রুবেলের চেম্বারের আশেপাশের ব্যবসায়ীরা জানান, রুবেল সত্যিকারের ডাক্তার নন। যে কারণে রোগীর এ অবস্থা হয়েছে। তবে লোক হিসেবে খারাপ ছিল না। ঘিওর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ বিপ্লব বলেন, আসামি রুবেল ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। যেহেতু একজনই আসামি তাই আজকের মধ্যেই চার্জশিট দাখিল করা হবে।
আলোকিত প্রতিদিন/ ০৯ মে ,২০২২/ মওম