বিবাদীকে মারার হুমকি দিয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে

0
430

মামুন হাসান

কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর উপজেলায় জামিনে থাকা এক বিবাদীকে হাজতে আটকে রেখে এবং জেলের ভয় দেখিয়ে চাল লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে মুরাদনগর থানার এক পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগী জহিরুল ইসলাম মুরাদনগর থানার এসআই সমীর ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে কুমিল্লা পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ দেওয়ার বিষয়টি স্থানীয় সাংবাদিকদের জানান। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, তিনিসহ তিন জনের বিরুদ্ধে তার স্ত্রী মুরাদনগর উপজেলার কামাল্লা গ্রামের আয়েশা আক্তার আদালতে একটি মামলা করেছিলেন। ওই মামলায় গত ৯ ফেব্রুয়ারি আদালত থেকে জামিন পান। তবে ওইদিন বিকেলে মুরাদনগর থানার এসআই সমীর ভট্টাচার্য্যের নেতৃত্বে একদল পুলিশ রি-কল থাকা সত্বেও জহিরুল ইসলামকে ধরে এনে থানার হাজতে আটকে রাখে। রাতেই বিষয়টি মীমাংসার শর্তে ১০ হাজার টাকার বিনিময়ে তাকে ছাড়িয়ে নেয় স্থানীয়রা। ওই ঘটনার পর গত ১৪ ফেব্রুয়ারি জহিরুল ও স্ত্রীর বিষয়টি মীমাংসার জন্য এসআই সমীর থানার গোলঘরে সালিশ করেন। সালিশে তিন দিনের মধ্যে ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা এবং ১৫ দিনের মধ্যে আরো ৩ লক্ষ টাকা পরিশোধ করার জন্য নির্দেশ দেন এসআই সমির। সময়মতো টাকা পরিশোধ না করলে বিভিন্ন মামলা দিয়ে তাকে আজীবন জেলে পচিয়ে মারার হুমকিও দেন। পরে ১৭ ফেব্রুয়ারি ১ লাখ ৫০হাজার টাকা পরিশোধ করেন জহিরুল। বাকী ৩ লাখ টাকা এলাকার গন্যমান্যদের উপস্থিতিতে ৮ মার্চ এসআই সমীরের হাতে তুলে দেন। কামাল্লা ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত ইউপি সদস্য আনোয়ারা বেগম বলেন, আদালত থেকে জামিনে আসার পর পুলিশ কর্তৃক হয়রানী ও জেলের ভয় দেখিয়ে সাড়ে ৪ লাখ টাকায় মিমাংসা করার ঘটনাটি সঠিক। এ বিষয়ে কামাল্লা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল বাশার খাঁন বলেন, জরিমানার ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা সমীর ভট্টাচার্য্যের কাছে জমা রাখা হয়েছে। মামলা তুলে এসে বাদী আয়েশা আক্তার এসআই সমীর ভট্টাচার্য্যের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার কথা ছিল। জহিরুল ইসলামের কাছে শুনেছি এখনো আয়েশা আক্তার মামলা তুলে নেন নাই। এসআই সমীর ভট্টাচার্য্যে টাকা নেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। অভিযুক্ত এসআই সমীর ভট্টাচার্য্য সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, সালিশ বৈঠক করেছে এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিরা। আমি পাশে বসা ছিলাম মাত্র। এ বিষয়ে মুরাদনগর থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল হাশিম বলেন, এসআই সমীর ভট্টাচার্য্যের বিরুদ্ধে যে অভিযোগটি করা হয়েছে সেটি সঠিক নয়। এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা বিষয়টি নিষ্পত্তি করেছেন।

 

আলোকিত প্রতিদিন/ দ ম দ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here