প্রতিনিধি,শাজাহানপুর(বগুড়া) :
বগুড়ার শাজাহানপুরে তিন ফসলের কৃষি আবাদি জমির মাটি ইট ভাঁটায় বিক্রি করে কৃষক বিপাকে পড়ছে। উপজেলার সন্নিবেশিত এলাকায় প্রায় অর্ধশতাধিক ইট ভাটা রয়েছে এ সকল ভাটার খোরাক প্রতি বছর যোগান দিতে এলাকার জমি গুলি বেহাল দৃশ্যে পরিনত হয়েছে । সরজমিনে উপজেলার কিছু কিছু এলাকা ঘুরে দেখাগেছে, আসন্ন বর্ষকালের শুরুতেই দমকা বাতাসের কারণে, নয় মাইল, জামালপুর, আশেকপুরের পারতেখুরসহ বিভিন্ন অঞ্চলের আবাদি জমির পানি জমে থাকা আর তার সাথে বোরো ধানগাছ মাটির সাথে নুয়ে পড়ে যায়। বেহাল অবস্থা নেই কোন পানি নিষ্কাসন ব্যবস্থা। আগের তুলনায় জমি এক থেকে দুই ফুট নিচু হবার কারণে পানি সহজে বের হবার ব্যবস্থা নেই। পানির সাথে নুয়ে যাওয়ার কারণে সিকি অংশ ধান কম হবে বলে অনেক কৃষক জানান। উপজেলার কৃষক ইয়াছিন, কাওছার হোসেন, বাবলু মিয়া, আবু তালেবসহ আরও কয়েকজন বলে পানি বের হবার নালা গুলো জমি থেকে অনেক উচুতে হওয়ার পানি না বের হবার কারণে পড়ে যাওয়া ধানের নিচের অংশের ধান কালো হয়েছে। আবার তার সাথে শিকঁড়ও গঁজিয়েছে। আরও বলে টাকার প্রলোভনে স্থানীয় এজেন্ট এর মাধ্যমে ইট-ভাটায় মাটি বিক্রি করে জমি নিচু হওয়ায় তারা দিশেহারা অবস্থায় পড়েছে পানি সরাতে না পেরে। বর্তমান বাজারে বোরো ধানের দর ৮শ’ থেকে ৯শ’ টাকা দরে কেনা বেচা হচ্ছে। সে তুলনায় কালো বিবর্ণ হওয়া ধানের দাম কম। ওদের মধ্যে একজন কৃষক জানায় গাইবান্ধা এলাকা থেকে আসা ধান কাঁটা শ্রমিকদের আমি ৭ বিঘা জমির ধান কেটে বাড়িতে এনে দিবে তাতে বিঘা প্রতি খরচ হবে ৫হাজার ৫শ’ টাকায়। অন্যদিকে দেশিও দিন মজুরি ১হাজার থেকে ১২টাকাও দিন মজুরিদেরও পাওয়া যাচ্ছে না। বৈরি আবহাওয়াই মানুষের কর্ম দূর্ভোগ বাড়াচ্ছে । গুড়িগুড়ি বৃষ্টির কারণে দূর্ভোগ আরও বাড়াচ্ছে। বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার কর্মদর্ক্ষ কৃষি কর্মকর্তা নুরে আলম সিদ্দিকী জানান, এবছর উপজেলা জুড়ে বোরো ধান আবাদে ১৩হাজার ৫৬০ হেক্টর জমিতে লক্ষ্যেমার্ত্রা ছিল। আবার বৈরি আবহাওয়ার কারণে ধানগাছ আগেই ঝড়ে মাটিতে নুয়ে পড়ার কারণে কৃষকের বোরো আবাদের ক্ষতি সাধন হয়েছে।