একেএম ফারুক হোসাইন
দেশের বহুল আলোচিত ভোজ্য তেল সয়াবিনের সংকট মোকাবেলায় সুবর্ণচর উপজেলার কৃষকদের রোপন কৃত সয়াবিনে আশার আলো দেখছে বাংলাদেশ দৈনিক আলোকিত প্রতিদিন পত্রিকায় প্রকাশিত এমন খবরে দৃষ্টি আকর্ষণ হয় কৃষি মন্ত্রণালয়ের। সংবাদের আলোকে সরাসরি কৃষি পর্যায়ের খোঁজে চলে আসেন কৃষি মন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক। আজ ১৫ মে সকাল ১০ টার মধ্যে কৃষি মন্ত্রী নোয়াখালী এসে পৌঁছালে তাকে অভ্যর্থনা জানান নোয়াখালী বেগমগঞ্জের সংসদ সদস্য মামুনুর রশীদ কিরণ। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন নোয়াখালী জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান,জেলা পুলিশ সুপার মোঃ শহীদুল ইসলাম। এর আগে মন্ত্রীর সফর সঙ্গীদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সচিব মোঃ সায়েদুল ইসলাম, কৃষি সম্প্রসারনের মহাপরিচালক, বিএডিসির উচ্চ পর্যায়ের বিভিন্ন কর্মকর্তা, বিএডিসির ক্ষুদ্র সেচ প্রকল্পের পরিচালক মেঃ নূর নবী,বিএডিসি খামার প্রকল্পের পরিচালক আজিম ও নোয়াখালী কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্ধ। পরে কৃষি মন্ত্রী সুবর্ণচর উপজেলার চরজব্বরের পরিষ্কার রাস্তার মাথায় সয়াবিনের প্রদর্শিত জমি পরিদর্শন করেন। এসময় সাংবাদিকদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় মন্ত্রী সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য তার সফরের বিষয়াবলী উল্লেখ করেন। মন্ত্রী সাংবাদিকদের কাছে সুবর্ণচরের কৃষির সম্ভাবনা ও সমস্যা সম্পর্কে জানতে চান। সুবর্ণচরের রোপন কৃত সয়াবিন দেখে মন্ত্রী একে গোল্ডেন সয়াবিন যা কিনা একমাত্র আমেরিকাতে কেবল চাষাবাদ হয় বলে জানান। আর এ সয়াবিনের উৎপাদন এখানে হয় জেনে তিনি খুবই উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। সয়াবিন উৎপাদনের সাথে জড়িত কৃষকদের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে উপস্থিত কৃষকদের এবং সাংবাদিকদের আশ্বস্ত প্রদান করেন। কৃষি মন্ত্রী জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সয়াবিনের পাশাপাশি বাদাম উৎপাদনে জোর দিতে নির্দেশ প্রদান করেন। উৎপাদন বাড়াতে না পারলে কৃষি মন্ত্রী থেকে চলে যাওয়ার পরামর্শ দেন।প্রতিবছর ২০ থেকে ২৫ লক্ষ নতুন মুখ আসছে বাংলাদেশে। তাদের খাদ্যের যোগান দিতে দেশের কৃষি বিজ্ঞানীরা প্রতিনিয়ত উন্নত জাত উদ্বাবোন করে যাচ্ছেন। মন্ত্রী বলেন,এক ইঞ্চি জমি যাতে পতিত না থাকে। এ প্রতিবেদকের এক প্রশ্নের জবাবে কৃষি সচিব মোঃ সায়েদুল ইসলাম বলেন,কৃষি সুরক্ষা আইন বলবৎ করার আগে আমাদের বেশকিছু বিষয় লক্ষ রাখতে হয়। দেশ যেহেতু শিল্প ইণ্ডাষ্ট্রির প্রয়োজন রয়েছে সেহেতু ধীরে চল নীতি গ্রহন করতে হচ্ছে। তবে তিনি স্বীকার করেন দেশের চাষযোগ্য জমি রক্ষা করতে হলে কৃষি সুরক্ষা আইন বাস্তবায়ন করার কোন বিকল্প নেই। এবং এই আইন যথাশীঘ্র বাস্তবায়ন হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। পরে কৃষি মন্ত্রী গ্লোবের খামার,ইক্ষু গবেষণা ইনস্টিটিউট ও বিএডিসির খামার পরিদর্শন ও কৃষকদের মাঝে সার,বীজ বিতরন করেন।
আলোকিত প্রতিদিন/ ১৫ মে ,২০২২/ মওম