ক্রীড়া ডেস্ক
তিন বছর হয়েছে টেস্টে সেঞ্চুরির দেখা নেই তামিম ইকবালের। ঘরের মাঠ বিবেচনা করলে এই সময়টা আরও বেশি- ৬ বছর! শেষ পর্যন্ত দুটি আক্ষেপই দূর হলো চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম টেস্টের তৃতীয় দিন দশম টেস্ট সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন বামহাতি ওপেনার। অবশ্য লাঞ্চ থেকে ফেরার পরই ওপেনিং সঙ্গী মাহমুদুল হাসানকে হারাতে হয়েছে তাকে। ৫৮ রান করা মাহমুদুল আসিথা ফার্নান্ডোর বলে গ্লাভসবন্দি হয়েছেন। তার ফেরার পর কাঙ্ক্ষিত সেঞ্চুরিটি তুলে নেন তামিম। ৫৭ ওভার শেষে প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২ উইকেটে ১৮৩ রান। তামিম ব্যাট করছেন ১১১ রানে, মোমিনুল হক ২ রানে। স্বাগতিকরা পিছিয়ে আছে ২১৪ রানে। বামহাতি ওপেনারের সর্বশেষ সেঞ্চুরিটি ছিল ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি। হ্যামিল্টনে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ১২৬ রান করেছিলেন। তার পর দুবার কাছে গেলেও সেসব ইনিংস সেঞ্চুরিতে করতে পারেননি। ২০২১ সালে পাল্লেকেলেতে এই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৯০ ও ৯২ রানের ইনিংস খেলেছেন এবং একটিতে অপরাজিত থেকেছেন ৭৪ রানে। ঘরের মাঠে সর্বশেষ সেঞ্চুরিটি ছিল ২০১৬ সালের অক্টোবরে। মিরপুরে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১০৪ রান করেছিলেন তিনি।তামিমের আগ্রাসী ব্যাটিংয়েই তৃতীয় দিনের প্রথম সেশন দাপট দেখিয়েছে বাংলাদেশ। লাঞ্চ ব্রেকে যাওয়ার আগে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে সংগ্রহ ছিল বিনা উইকেটে ৪৭ ওভারে ১৫৭ রান। বিরতির পর মাহমুদুল হাসান জয়ের ফেরায় ভাঙে ১৬২ রানের মহাকাব্যিক জুটি। এরপর সান্টু খুব দ্রুত ফিরে যান আউট হয়ে । অবশ্য টেস্টে বরাবর বাংলাদেশের আক্ষেপের নাম হয়ে থেকেছে এই ওপেনিং। থিতু হওয়ার পাশাপাশি বড় রান খুব একটা আসতে দেখা যায় না। সেখানে সুবাস ছড়িয়েছেন তামিম ইকবাল-মাহমুদুল হাসান। তাদের ছড়ি ঘোরানো ব্যাটিংয়েই ওপেনিংয়ে ৬১ ইনিংস পর দেখা মিলেছে শতরানের পার্টনারশিপ। লঙ্কান বোলারদের দিনের শুরু থেকেই শাসন করেছেন দুই ওপেনার। তামিম দ্রুত ব্যাট চালিয়ে ফিফটি তুলে নিয়েছেন। দশম সেঞ্চুরি পেতে খেলেছেন ১৬২ বল। মাহমুদুল হাসানের তুলনায় আক্রমণাত্মক ব্যাটিংই করেছেন তিনি। শ্রীলঙ্কাকে প্রথম ইনিংসে ৩৯৭ রানে গুটিয়ে দেওয়ার পর এক কথায় আধিপত্য বিস্তার করে খেলেছে দুই ওপেনার। রান রেট বিবেচনায় নিলে প্রথম ইনিংসে শ্রীলঙ্কার তুলনায় রান তোলার গতিও ছিল বেশি। মাহমুদুল হাসানও জীবন পেয়ে যান ৩৯তম ওভারে। হুক করতে গিয়ে বল বাতাসে তুলে দিয়েছিলেন। কিন্তু আসিথা ফার্নান্ডো বাউন্ডারির কাছে তার ক্যাচ হাতে জমাতে পারেননি ঠিকমতো। পরে সেই বল ছুঁয়েছে বাউন্ডারি।
আলোকিত প্রতিদিন/ ১৭ মে ,২০২২/ মওম