প্রতিনিধি,শাজাহানপুর(বগুড়া):
বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলায় কওমি মাদ্রাসার ছাত্র সামিউল(৯) নামের এক শিশুকে গঁলায় রশি পেঁচিয়ে হত্যার ঘটনায় সৎ বাবা ফজলুল হক ও অপর সহযোগী মা পরিচয় দানকারী অনিতা রানী(৩৭) কে গ্রেফতার করছে থানা পুলিশ। জানাগেছে, নিহত সামিউলের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সাজাপুর পূর্বপাড়া তালিমুল কোরআন হাফেজিয়া মাদ্রাসায় ফজলুল হকের মুল পরিকল্পনা অনুযায়ী সবকিছু সাজিয়ে অনিতা রানী(৩৭) মা পরিচয় দিয়ে সামিউলকে সৎ পিতা ফজলুর কাছে দিতে বলে ফোন করে। অন্যদিকে সালেহা বেগম মে মাসের প্রথম দিকে স্বামী ফজলুল হক কে তালাক দেয়। কিন্তু কোন কিছুতেই সালেহার পিছন ছাড়ছিলনা এমনকি তাকে আবারও এক সাথে সংসার করতে প্রস্তাব দেয় ফজলুল হক। ছেলে ছাড়া সংসার করতে রাজি না হলে প্রতিশোধ হিসেবে হত্যা করে গলায় রশি পেঁচিয়ে। আরও জানাগেছে সালেহার সাথে বিয়ের পর থেকেই সৎছেলে সামিউলকে দেখতে পারতনা। কখনও কখও সৎ ছেলে সামিউলকে রাত্রে বাড়ির বাহিরে রেখে দরজা আটকিয়ে দিত ফজলুল হক। গত ঈদুল ফিতরের ঈদে বাড়িতে আসলে মায়ের কাছে বায়না করে কোথাও বেড়াতে নিয়ে যেতে কিন্তু ফজলুল হক এর মারধর করার করনে সে স্বপ্ন তার পূরুণ হয়নি। আজ সকাল ১১টায় বগুড়া জেলা পুলিশ কর্মকর্তা (এসপি) সুদ্বীপ কুমার চক্রবর্ত্তীর প্রেস-কনফারেন্স এর মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করছেন। শাজাহানপুর থানা পুলিশের কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, নিহত সামিউলের মা বাদি হয়ে ফজলুল হক ও অনিতা রানীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। গ্রেফতারকৃত আসামিদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজুেেত পাঁঠানো হয়েছে।
আলোকিত প্রতিদিন/ ১৮ মে ,২০২২/ মওম

