প্রতিনিধি, টাঙ্গাইল:
টাঙ্গাইল শহরে বিয়ের দেড় বছর পর রিনা আক্তার নামে এক কলেজছাত্রীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। ২২ মে রবিবার সন্ধ্যায় শহরের দেওলা এলাকার ভাড়া বাসা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত রিনা আক্তার মায়া সরকারি কুমুদিনী কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী ও কালিহাতী উপজেলা মহেলা গ্রামের হাবিল উদ্দিনের মেয়ে। এ ঘটনায় পুলিশ কলেজছাত্রীর স্বামী প্রান্তকে আটক করেছে। জানা গেছে, গত দেড় বছর আগে শহরের বিশ্বাস বেতকা মুন্সিপাড়া এলাকার সামাল খাঁনের ছেলে ওয়াহেদুল ইসলাম প্রান্তর সঙ্গে রিনার পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই তাকে শারীরিক এবং মানসিকভাবে নির্যাতন করতেন স্বামী। এ কারণে ছাত্রীর বাবা হাবিল উদ্দিন প্রান্তর বাবার কাছে অভিযোগ করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে প্রান্ত দেওলার ভাড়া বাসায় যান। হাবিল উদ্দিনের অভিযোগ, বাসায় অন্যদের অনুপস্থিতির সুযোগে রিনার ওপর চড়াও হন প্রান্ত। ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে মায়াকে শ্বাসরোধে হত্যা করে। এরপর মায়ার মরদেহের গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে রেখে ডাকচিৎকার করে। পরে প্রতিবেশীরা পুলিশকে খবর দেন। প্রান্তর বাবা সামাল খাঁনের দাবি, স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়ার একপর্যায়ে রীনা আক্তার মায়া গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছে। তার ছেলে প্রান্তকে অহেতুক দোষারোপ করা হচ্ছে। টাঙ্গাইল মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মীর মোশারফ হোসেন আলোকিত প্রতিদিনকে বলেন, এ বিষয়ে মেয়ের বাবা বাদী হয়ে প্রান্তকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। প্রান্তকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
আলোকিত প্রতিদিন / ২৩ মে ,২০২২/ মওম