প্রতিনিধি,নেত্রকোণা
সারা দেশে এমন একটা অবস্থা তৈরি হয়েছে যে কোন জায়গায় কোন ঘটনায় মৃত্যু হলে এলাকার তৃতীয় কিছু ব্যক্তি এবং বাদীদের ইন্দনে আসামিপক্ষদের ঘরবাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাট করে। তখন একদিকে যেমন মামলার জন্য পলাতক জীবন যাপন করে , অন্যদিকে সব হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে যায়। এমন একটা ঘটনা ঘটে গত ৪ মে বুধবার সকালে নেত্রকোণা পূর্বধলা উপজেলা খলিশাউর ইউনিয়নের কুরপাড় গ্রামে বাড়ির ভিতরের জমি সংক্রান্ত জের ধরে একে অপরের সাথে সংঘর্ষ ঘঠলে একই বাড়ির বশির উদ্দিন (৪৫)নিহত হয়। বশির উদ্দিনের ছোট ভাই রব্বানী বাদী হয়ে ১৮ জনকে আসামি করে পূর্বধলা থানায় মামলা করেন মামলা নং-৭ এর পর লিমা (২৫) নামে ২১ মে একজন গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এদিকে আসামিদের অনুপস্থিতে তাদের সাত থেকে আটটি বসতঘরের মালামাল টিবি ফ্রীজ সহ আসবাবপত্র গরু হাঁস-মুরগি ইত্যাদি লুট করে নিয়ে যায় কে বা কারা। হত্যা মামলার আসামি হওয়ার কারণে লুটপাটের জন্য থানায় কোনো অভিযোগ দিতে পারছে না আসামিরা। এলাকাবাসীরা লুটপাটের বিষয়ে কোনো প্রকার মুখ খুলছে না গোপনীয় ভাবে জানা যায় বাদী এবং এলাকার কিছু সুবিধাবাদী লোক এমন কাজ করেছে। ১১ টি গরুর মধ্যে বড় গরু গুলোকে জবাই করে খেয়েছে এলাকার সুবিধাবাদীরা এবং আসবাবপত্র সরিয়ে ফেলেছে । এদিকে খলিশাউড় ইউপি চেয়ারম্যান কমল কৃষ্ণর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, গ্রাম পুলিশের কাছে প্রশাসনের মধ্যমে কয়েক টি গরু জমা আছে এবং দেখেন নাই শুনছেন কে বা কাহারা কয়েক টি গরু জবাই করে খেয়ে ফেলেছে এবং তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন। লুটপাটের বিষয়ে বাদীদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে নিহত বশির উদ্দিনের ভাতিজা আব্দুর রশিদ-সহ তারা অস্বীকার করে বলেন, আমরা কোন লুটপাট করিনি বরং আসামীরা স্বজনদের দিয়ে এমনটা করেছে । রাতে কিছু লোক বোরকা পড়ে আসে এবং সবকিছু নিয়ে যায়। যার বিষয়ে আমরা কিছু জানি না। আমাদের তেমন কেউ ছিলো ও না। কোন আত্মীয়-স্বজন নিয়েছে সে বিষয়ে জানতে চাইলে তারা বলে বোরকা পড়ে এসেছিল তাই চিনতে পারেনি। পূর্বধলা থানা ওসি তদন্তের সাথে মোবাইলে বাড়ি ঘর ভাংচুর ঘটনা জানতে চাইলে তিনি বলেন উক্ত বিষয়ে জানেন না। এদিকে সচেতন মহল উক্ত ঘটনার তদন্ত করে প্রকৃত দোষীদের বিচারের আওতায় এনে বিচারের জন্য দাবি জানান।
আলোকিত প্রতিদিন / ২৩ মে ,২০২২/ মওম