ভাঙ্গুড়ায় বড়াল গুমানীতে পানি  বৃদ্ধি তলিয়ে যাচ্ছে ইরিবোরো 

0
468
মোঃনূরুজ্জামান সবুজ 
 পাবনার  ভাঙ্গুড়া উপজেলা সহ চলনবিল অঞ্চলে ইরি বোরো ধান কাটা নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষক। এক হাজার টাকাও মিলছেনা কৃষিশ্রমিক। মাঠেই নষ্ট হচ্ছে ধান। উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় গুমানী ও বড়াল নদী হয়ে পানি ঢুকেছে চলনবিলে। পানিতে ভাঙ্গুড়া  উপজেলার বিল এলাকার মাঠকে মাঠ  পাকা ইরি-বোরো ধান  পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে।  এতে কৃষকের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হবে বলে ভয় আর শংকায় তাদের দিনকাল চলছে।গত কয়েকদিন   ধরে বড়াল,গুমানী নদীতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। বন্যার পানি থেকে ফসল রক্ষায় স্থানীয় কৃষকেরা প্রাণপণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন। নদীতে পানি বেড়ে যাওয়ার ফলে নদী এবং বিলে বন্যার পানি ঢুকে উঠতি পাকা ধান ডুবে যায়। সারা বছরের খাওয়ার ধান ডুবে যাওয়ায় এ এলাকার কৃষকদের মধ্যে হতাশা বিরাজ করছে।  ধানের বাম্পার ফলনেও কৃষকের মুখে হাসি নেই। ধান কাটার ভরা মওসুমে চড়া মজুরি দিয়েও মিলছে না শ্রমিক। এতে মাঠেই নষ্ট হচ্ছে কৃষকের ধান।  শ্রমিকের অভাবে কৃষক নিজেরাই পানিতে ডুবে থাকা ধান কেটে তোলার চেষ্টা করছেন। পলিথিনের নৌকা বানিয়ে ধান কেটে বিলের কিনারায় নিয়ে আসা হচ্ছে। প্রতিদিনই পানি বাড়ছে। সময় মতো ঘরে তোলা নিয়ে দেখা দিয়েছে শঙ্কা।   উপজেলার পুইবিল, বামনবিলা, ফইটক্যা বিল,পাকার বিল বাশবাড়ীয়া জোকা বিল ,কশি বিল,আফরার বিল, দরাপপুর বিলসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়,মাঠের পর মাঠ সোনালী ধান। পানিতেই ধান কাটছে কৃষক ও শ্রমিক। ধান ঘরে তোলা নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক ও কৃষাণীরা। গোবিন্দ পুরের কৃষক নুরনবী , চরভাঙ্গুড়ার আঃ সবুর নৌবাড়ীয়ার আঃ করিম  মন্ডল বাশবাড়ীয়ার জহুরুল  সহ অন্যরা বলেন,মাঠের অধিকাংশ ধান পেকে যাওয়ায় শ্রমিক সংকট দেখা দিয়েছে। পানি বেড়ে যাওয়ায় ডুবে যাচ্ছে পাকা ধান। এক হাজার টাকা মজুরী দিয়েও মিলছে না একজন শ্রমিক। অনেকেই জমির ধান কেটে অর্ধেক ধান শ্রমিককে দিচ্ছেন। যাতে আবাদকৃদ ধান ঘরে তোলা যায়। কৃষকেরা জানান,উজানের ঢলের কারণে নদী ও বিলের পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এর উপর ঝড়,বৃষ্টিপাত ও দমকা হাওয়ায় ধানের ক্ষতি হচ্ছে। চোখের সামনে পাকা ও আধাপাকা ধান পানিতে ডুবে ফসলহানী ঘটছে। ধানকাটা শ্রমিকের অভাবে তাদের দাঁড়িয়ে দেখা ছাড়া আর কোন উপায় নাই। ধানকাটা শ্রমিকরা জানান,সব জিনিসের দাম বেশি,তাই মজুরিও বেশি। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত কাজ করতে হয়। মজুরি বেশি না নিলে সংসার চলবে কি করে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুত্রে প্রকাশ ধানের ফলন খুব ভাল হয়েছে। বৈরি আবহাওয়ার কারণে পাকা-আধাপাকা ধান নিয়ে বিপাকে পড়েছে কৃষক। পানিতে ধানের জমি তলিয়ে যাচ্ছে। ফলে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন তারা। কৃষিশ্রমিকের চরম সংকট চলছে। বিলে বন্যার পানি ঢুকে বিল এলাকার প্রচুর  জমির ধান ডুবেছে বলে খবর পেয়েছি। ভাঙ্গুড়া উপজেলা প্রশাসন সুত্রে জানা যায় বন্যার ঝুঁকি এড়াতে পুইবিল- রপসী স্লুইসগেট ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধ মনিটরিং জোরদার করা হয়েছে।
আলোকিত  প্রতিদিন / ২৪ মে ,২০২২/ মওম

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here