প্রতিনিধি,নোয়াখালী :
নোয়াখালী বেগমগঞ্জ উপজেলার আমান উল্যাহপুর ইউনিয়নে অবস্থিত জয়নারায়নপুর ইসলামিয়া ফাজিল (ডিগ্রী) মাদ্রাসার অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে সেচ্ছাচারিতা, অনিয়ম, দুর্নীতি ও নির্যাতনের প্রতিকার চেয়ে গতকাল সকালে নোয়াখালী জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মূখে এলাকার সচেতন মহল, সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীগণ এক মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে। মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসকের নিকট স্বারকলিপি প্রদান করে। অত্র মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আবু আফসার মোঃ মিজানুর রহমান একজন দুশ্চরিত্র শ্রেনীর লোক । তিনি অত্র মাদ্রাসায় শিক্ষক হিসেবে যোগদানের পর থেকে মাদ্রাসার গর্ভনিং বডির কয়েকজন সদস্যদের কে প্রভাবিত করে পর্যায়ক্রমে প্রভাষক, উপাধ্যক্ষ এক পর্যায়ে অধ্যক্ষ পদে পদোন্নতি হাসিল করেন। অধ্যক্ষ পদে পদোন্নতি হাসিলে বাধাগ্রস্থ যেন না হয় সে জন্য তিনি মাদ্রাসার কয়েকজন দক্ষ ও যোগ্য শিক্ষক কে বিভিন্ন ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে মিথ্যা মামলায় ফাসিয়ে মাদ্রাসা থেকে পদত্যাগে বাধ্য করেন। অন্যদিকে তিনি ছাত্র-ছাত্রীদের কে বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। ২০১৯ সালে যৌন নির্যাতনের অভিযোগে ২জন ছাত্রের অভিযোগের প্রেক্ষিতে গর্ভনিং বডির সিদ্ধান্ত মোতাবেক তাকে ঐ সময়ে সর্তককরণ নোটিশ প্রদান করা হয়। গত ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২ইং মাদ্রাসা ছাত্র হাফেজ মোঃ আরিফুর রহমানকে ঘুমের ঔষধ খাইয়ে অচেতন করে যৌন নির্যাতনের ঘটনা সংঘটিত হয়। উক্ত বিষয়ে আরিফুর রহমান মাদ্রাসা সদস্য ও গর্ভনিং বডির সভাপতির নিকট মৌখিকভাবে অভিযোগ করলেও অদৃশ্য কারনে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা না নিয়ে অধ্যক্ষকে ৩ মাসের ছুটিতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। বিচার না পেয়ে ১৭ই এপ্রিল ২০২২ইং তারিখে বেগমগঞ্জ মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করে। মামলা দায়েরের পর বেগমগঞ্জ থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করে। আদালত তার জামিন মঞ্জুর না করে জেল হাজতে প্রেরণ করে। গত ১০ মে অধ্যক্ষ আবু আফসার মোঃ মিজানুর রহমান জামিনে মুক্ত হয়ে বাদীও মামলার সহায়তাকারীদের কে মামলা প্রত্যাহারের জন্য প্রভাবশালীদের আশকারায় বিভিন্ন প্রকার হুমকি-ধমক দিয়ে আসছে। ফলে ভূক্তভোগী বাদী পক্ষ জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় দিনাতিপাত করছে। মানববন্ধনে বক্তাগণ এ নেক্কারজনক ঘটনার জন্য দোষী ব্যক্তিকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।