মোঃ আবদুল কাদের
চোরাই মহিষ সহ চোর সিন্ডিকেটের দুই সদস্যকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলার কোলাগাঁও ইউনিয়নের লাখেরা দিঘির পাড় থেকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাদের একটি চোরাই মহিষ সহ গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলো কোলাগাঁও ইউনিয়নের লাখেরা আহমদ সওদাগর বাড়ি এলাকার মৃত আহমদ আলীর ছেলে মো: বাবলু (৩৭) ও একই ইউনিয়নের উত্তর চাপড়া গ্রামের নাছির চেয়ারম্যান বাড়ি এলাকার মৃত ছালেহ আহমদের পুত্র মো: তাহের আহমদ (৬০)। এ ঘটনায় থানায় মহিষের মালিক মো: রাকিব উদ্দিন বাদি হয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। গতকাল বুধবার তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। এদিকে বিশেষ অভিযানে গ্রেফতারকৃত আরো তিন আসামীকে আদালতে পাঠানো হয়।
জানাযায়, গত ২১ মে উপজেলার কাশিয়াইশ ইউপির জামাল হোসেন এর পুত্র মো: রাকিব উদ্দিন তার পালিত দুইটি মহিষ কাশিয়াইশ বিলে চারণের জন্য দেয়। ওইদিন সন্ধ্যায় রাকিব দেখতে পায় দুইটি মহিষের মধ্যে একটি মহিষ রয়েছে। একটি মহিষ চোর চক্র নিয়ে যায়। আত্মীয় স্বজনের মাধ্যমে খোজাখুজির এক পর্যায়ে জানাযায়, ওই মহিষটি কোলাগাঁও ইউনিয়নের লাখেরা দিঘির পাড় এলাকায় চোর চক্রের সদস্য বাবলু ও তাহের এর কাছে চোরাই মহিষটি রয়েছে। এসময় স্থানীয়দের সহায়তায় তাদের আটক করে পুলিশে খবর দেয়। এসময় কালারপোল পুলিশ ফাঁড়ির একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আসামী ও মহিষটি পুলিশ হেফাজতে নেয়। এ বিষয়ে পটিয়া থানার ওসি (তদন্ত) রাশেদুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামীদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। ধৃত চোর চক্রের সদস্য বাবুল বিভিন্ন এলাকা থেকে চোরাই গরু মহিষ এনে এলাকায় জবাই করে ভাগা বিক্রি করে আসছিল। তার সাথে একটি সিন্ডিকেট জড়িত। তাদের গ্রেফতার করতে পারলে অনেক তথ্য বের হবে। এদিকে একের পর এক গরু,মহিষ মোটর সাইকেল, সিএনজি চুরির ঘটনার এলাকায় লোকজনে মধ্যে চরম অসন্তোষ বিরাজ করছে বলে জাতীয় কৃষক পার্টি কেন্দ্রীয় নেতা মোহাম্মদ হোসাইন ও জঙ্গলখাইন ইউনিয়ন পরিষদের পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী মাইজভান্ডারি গাউসিয়ান হক কমিটির সাবেক পটিয়া পৌরসভার সাধারণ সম্পাদক মোঃ দিদারুল আলম এবং অপরাধ বিচিত্রা সাংবাদিক আবুল হোসাইন চৌধুরী পটিয়া থানার পুলিশকে দ্রত তদন্ত সাপেক্ষে চুরের দলকে আইনের আওতায় আনার দাবি জোর জানান।
আলোকিত প্রতিদিন / ২৬ মে ,২০২২/ মওম