একে এম. ফারুক হোসাইন
সম্প্রতি নোয়াখালী সদর উপজেলার কালাদরাপ ইউনিয়ন ভূমি অফিসের সাবেক (বদলি জনিত) মাসুদ আলমের আর্থিক কেলেংকারী, বেপরোয়া ঘুস বাণিজ্যসহ নানাবিধ অপকর্মের কারণে স্হানীয় এলাকাবাসীর ঘেরাও করে বিক্ষোভের সংবাদে জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান তাৎক্ষণিক মাসুদ আলমসহ অপরাপর সহকারীকে প্রত্যাহার করে নেন। এরপর আরেক সিনিয়র (তহসিলদার) ভূমি উন্নয়ন কর্মকর্তা শহীদুল্লাহ্কে পদায়ন করেন জেলা প্রশাসন। তহসীলদার শহীদুল্লাহ্ পদায়নের পর হতে ফের সেবা প্রত্যাশীদের নানাভাবে হয়রানি করছেন। উপস্থিত স্হানীয় ভুক্তভোগী রাজনৈতিক আবদুল মালেক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সামান্য জমির খাজনা দিতে আমাকে এ অফিসে চারবার আসতে হলো। তিনি প্রশ্ন রাখেন আমাদের মতো রাজনৈতিক নেতাদের এভাবে হয়রানি করলে সাধারণ মানুষের কী অবস্খা হবে? আজ ৩ জুলাই রবিবার এ প্রতিবেদকদ্বয় সরেজমিনে অফিসে গেলে সাধারণ মানুষের হয়রানির এমন দৃশ্য পরিলক্ষিত হয়। এমন সময় অফিস পিয়ন ফজলু নাম জারি বাবদ ১৫ হাজার টাকার চুক্তিতে ৫ হাজার টাকা নিচ্ছে। কেনো এতগুলো টাকা নিচ্ছেন জানতে চাইলে সহকারি কমিশনার কার্যালয়ের খরচের কথা উল্লেখ করেন । উপস্থিত ভূমি কর্মকর্তা শহীদুল্লাহর কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা তার (অফিস পিয়নের) ব্যক্তিগত বিষয়। অন্যের ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে তার আগ্রহ নাই। উপস্থিত আরেক ভুক্তভোগী খলিল জানায় আগে নাম জারি বাবদ ১০ হাজার টাকা নিলেও এখন ১৫ হাজার টাকা নেয়। এ বিষয়ে সদর সহকারি কমিশনার (ভূমি) হাফিজুল হক বলেন, ভুক্তভোগীকে বলেন আমাকে লিখিত অভিযোগ জানাতে। আর নাম জারি বাবদ আমার অফিস কোনো টাকা গ্রহন করে না। পুরো বিষয় উল্লেখ করে সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নিজাম উদ্দিন আহমেদের মন্তব্য জানতে চাইলে তিনি বলেন, সেবা প্রদানে কোনো অনিয়ম বরদাশত করা হবে না। বিষয়টির গুরুত্ব বিবেচনায় তদন্ত করে প্রকৃত দোষীদের শাস্তির আওতায় আনার কথা জানায়। এখানে উল্লেখ্য তহসিলদার শহীদুল্লাহ বেগমগঞ্জের ছয়ানি ইউনিয়ন ভূমি অফিসে থাকাকালীন তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে স্হানীয় এলাকাবাসী মানববন্ধন করে। তাই কালাদরাপের স্হানীয় জনগণের দাবী বিষয়টির সুরাহার জন্য জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমানের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
আলোকিত প্রতিদিন/এপি