শুক্রবার যুবরাজের সঙ্গে বৈঠকের পর এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বাইডেন বলেন, ‘খাশোগির হত্যাকাণ্ডের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে, আমি এটিকে বৈঠকে উত্থাপন করেছি, পরিষ্কার করে দিয়েছি তখন এ সম্পর্কে কী ভেবেছিলাম এবং এখন এ সম্পর্কে কী ভাবছি’৷ তিনি বলেন, ‘আমি খুব সোজাসাপ্টা বলেছি একজন আমেরিকান প্রেসিডেন্টের জন্য মানবাধিকার ইস্যুতে নীরব থাকা মানে আমরা কে এবং আমি কে তা উপেক্ষা করা।বাইডেন বলেন সৌদি যুবরাজ দাবি করেছেন তিনি ওই খুনের জন্য ব্যক্তিগতভাবে দায়ী নয়। জবাবে প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘ইঙ্গিত দিয়েছি ভেবেছিলাম তিনি করেছেন’।বৈঠকের আগে তোলা ছবিতে বাইডেনকে সৌদি যুবরাজের সঙ্গে হাত মেলাতে দেখা যায়। এর মাধ্যমে দুই দেশের সম্পর্ক উষ্ণ হওয়ার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।

তবে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের পদক্ষেপের কড়া সমালোচনা করেছেন খাশোগির বাগদত্তা হেতিস চেঙ্গিস। দুই নেতার ছবি শেয়ার করে টুইটারে তিনি লেখেন, ‘আমার হত্যাকাণ্ডের জন্য এই জবাবদিহিতার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন? এমবিএস এর পরবর্তী শিকারের রক্ত আপনার হাতেও থাকবে।’ খাশোগি হত্যার পাশাপাশি দুই নেতার বৈঠকে জ্বালানি ইস্যুতে আলোচনা হয়েছে। বাইডেন আশা প্রকাশ করেন তেলের বাজার স্থিতিশীল করতে আরও পদক্ষেপ নেবে অন্যতম বড় উৎপাদক দেশ সৌদি আরব।

আলোকিত প্রতিদিন/ ১৬ জুলাই ,২০২২/ মওম                                       সূত্র: বিবিসি