ডা. সাবরিনাসহ ৮ আসামির ১১ বছর করে কারাদণ্ড

0
315

নিজস্ব প্রতিবেদক:

করোনাভাইরাস শনাক্তের পরীক্ষায় জালিয়াতির অভিযোগে জে কে জি হেলথ কেয়ারের সিইও আরিফুল হক চৌধুরীে এবং চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা আরিফ চৌধুরীসহ আট আসামিকে দণ্ডবিধির পৃথক তিন ধারায় ১১ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। ১৯ জুলাই মঙ্গলবার   ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেনের আদালত এ আদেশ দেন।

ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লা আবু এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানান, মামলাটিতে প্রত্যেক আসামিকে দণ্ডবিধির ৪০৩ ধারায় তিন বছর, ৪৬৬ ধারায় চার বছর ও ৪৭১ ধারায় চার বছর; সর্বমোট ১১ বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এসব দণ্ড একটি শেষ হলে পরবর্তীটি কার্যকর হবে বলে আদেশে বলা হয়েছে।  আলোচিত এই মামলায় রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে আজ সকাল সাড়ে ৮টায় কারাগার থেকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয় আসামিদের।  তাদের আদালতের হাজত খানায় রাখা হয়। এর আগে, গত ২৯ জুন ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেনের আদালত উভয়পক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য আজকের ১৯ জুলাই দিন ধার্য করেন। মামলায় কারাদণ্ডপ্রাপ্ত অপর আসামিরা হলেন— আবু সাঈদ চৌধুরী, হিমু, তানজিলা, বিপুল, শফিকুল ইসলাম রোমিও ও জেবুন্নেসা। মামলাটিতে মোট ৪০ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ হয়েছে।

গত বছরের ২০ আগস্ট ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সরাফুজ্জামান আনছারীর আদালত এ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। গত বছরের আগস্টে ঢাকার চিফ ম্যাট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জুলফিকার হায়াত মামলার চার্জশিট (অভিযোগপত্র) গ্রহণ করেন। ২০২০ সালের ৫ আগস্ট ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে ডা. সাবরিনা ও আরিফসহ আট জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন ডিবি পুলিশের পরিদর্শক লিয়াকত আলী। চার্জশিটে ডা. সাবরিনা ও আরিফকে ঘটনার মূলহোতা বলে উল্লেখ করা হয়েছে। অভিযোগপত্রে উল্লেখিত অন্য আসামিদের বিরুদ্ধে জালিয়াতি এবং প্রতারণার অভিযোগ আনা হয়েছে। অভিযুক্তদের মধ্যে হিমু, তানজিলা এবং রোমিও দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।

আলোকিত প্রতিদিন/ ১৯ জুলাই ,২০২২/ মওম

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here