প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রজ্ঞাপণ অমান্য করে নগরীতে অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ অটোরিকশার গ্যারেজে

0
303
পলাশ সেন:
মাননীয় সরকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পজ্ঞাপণ করেছেন বিদ্যুৎ ঘাটতি কারনে রাত ৮ পর থেকে সকল ধরনের আলোকসজ্জা,বড় মার্কেট, দোকানপাট বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।কিন্তু এক শ্রেনীর অসৎ মহল সরকারের প্রজ্ঞাপণকে অমান্য করে পিডিপির বিদ্যুৎ বিভাগের উর্দ্ধোতন কর্মকতারা হাইকোর্টের নিষেধআজ্ঞা সত্বেও অটোরিকশা গ্যারেজে বিদ্যুৎ বিতরন করে যাচ্ছেন যথা রীতি অবাক হওয়ার মতো ঘটনা। কি এমন শক্তির উৎস পিডিপির কর্মকর্তাদের? তাহলে কি একটা অশুভ শক্তি তাদের মদদ দিচ্ছে যা সচেতন মহলের প্রশ্ন। বেশ কিছু দিন আগেও সমালোচিত ও গনমাধ্যমে লিখা লিখি হয়েছে বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় বাকলিয়া বিদ্যুৎ কেন্দ্র নিয়ে।সরোজমিনে জানা যায় নগরীর অর্ধশত অটোরিকশার গ্যারেজে অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে ব্যাটারী চালিত অটো রিকশা থেকে প্রতি গাড়িতে চার্জ দেওয়ার নামে দৈনিক ১৫০ টাকা হাতিয়ে নেন গ্যারেজ মালিক পক্ষ।তাছাড়া ও এইসব অটোরিকশা পরিচালিত করে আসছে সরকার দলীয় নামদারী পদ পদবীহীন রাজনৈতিক নেতারা।এই সব অটোরিকশা খুব দরিদ্র শ্রেনীর লোকজন ও প্রতিবন্ধী দিয়েই চলাচল।দ্রুত গতি সম্পর্ন হওয়াতে এইসব যান ব্রেক কষলেই হয় দুঘর্টনা।বেশ কিছু বেপোরোয়া অটোরিকশা কারনে দূঘর্টনা এবং মৃতুর পর ও এখনো বন্ধ হয়নি চলাচল।চলছে তো চলছেই এই অবৈধ অটোরিকশা। দেশের উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও ক্ষমতার দাপটে চাঁদাবাজির উপর নির্ভর করে চলছে ব্যাটারি চালিত রিকশা। নগরীর বাকলিয়া, খুলশি, হালিশহর, পাহাড়তলী,আকবরশাহ ও বায়েজিদের গ্রাম সিএনজি, টমটম,ব্যাটারি অটোরিকশা থেকে মাসে কোটি কোটি টাকার টোকেন বাণিজ্য হয়।নিষিদ্ধ অটোরিকশা ও টমটম নিয়ে ১৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর নুরুল আলম মিয়ার মুঠোফোনে কথা বললে তিনি জানান অটোরিকশা বন্ধ করার জন্য আমি বর্তমান মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরীকে বহুবার বলেছি এবং এম’পি, শিক্ষামন্ত্রীকে ও তার পাশাপাশি অনেকবারই আমি বাধা সৃষ্টি করেছি, তিনি আরো জানান যে যেখানে মাদক বিক্রি অথবা মাদক সেবন হয় আমি খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাদেরকে আটকিয়ে প্রশাসন হাতে তুলে দেই। অটোরিকশার  টোকেন বানিজ্যর বিষয়ে জানতে চাইলে কাউন্সিলর নুরুল আলম মিয়া প্রতিবেদককে জানান আপনারা সাংবাদিক যেটা সত্য এটা লিখবেন, প্রশাসন আছে আমি কি করবো বলেন। আমি শত চেষ্টা করেও মহামান্য আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকার পরেও একটি রিকশা বন্ধ করতে পারিনি।প্রতিবেদক বায়েজিদ বোস্তামী থানা এলাকার ট্রাফিক বিভাগের অক্সিজেন ট্রাফিক ইনচার্জ টিআই’র সাথে অবৈধ নিষিদ্ধ অটোরিকশা ও গ্রাম সিএনজি নিয়ে কথা বললে তিনি প্রথমে প্রতিবেদকের প্রশ্ন এড়িয়ে যান। একই সময় ফোনালাপে  বাংলাবাজার লিংক রোডে যখন একাধিক দুর্ঘটনা ও মৃত্যু নিয়ে টিআই’র সাথে প্রতিবেদক  ফোনালাপে বলেন মহামান্য আদালতের নিষেধাজ্ঞ থাকা সত্ত্বেও ১০ থেকে ১৫ বছরের কিশোরদের  দিয়ে অটো রিকশা ও সিএনজি চালনা, লাইসেন্সবিহীন, অপ্রাপ্তবয়স্ক ছেলেদের তুলে দিচ্ছে টাকার বিনিময়ে টোকেন বাণিজ্যর চাঁদাবাজরা। ঠিক তখনই প্রতিনিয়ত হচ্ছে দুর্ঘটনা নেই কিশোর-কিশোরীদের কোন ড্রাইভিং লাইসেন্স’ দুর্ঘটনায় মৃত্যু নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি প্রতিবেদককে জানান তিনি এলাকায় কর্মরত আছেন দীর্ঘ পাঁচ মাস। ব্যাটারি রিকশাগুলো প্রশাসনের পক্ষ থেকে জিরো টলারেন্সে এই নিয়ে তিনি উনার ভাষ্যমতে গাড়িগুলোকে আমরা মেইনরোড উঠতে দেই না। এই বৃহত্তর এলাকা কন্ট্রোল করার মত জনবল বা আমাদের কাছে অতিরিক্ত ফোর্স না থাকায় যা আমাদের সাধ্যের  মধ্যে নেই। আমি এখানে জয়েন করার পর থেকে ৫০০ থেকে ৬০০ অবৈধ অটোরিকশা ও অবৈধ গ্রাম সিএনজি আটক করতে সক্ষম হই এবং এই অভিযান চলমান রয়েছে। ছিন্নমূল এলাকায় অটোরিকশার ব্যাপারে আমাদের বিশেষ নজর রয়েছে এবং ডেবার পাড়, জামতলা এবং লিংক রোডে রুটগুলোতে আমরা বিশেষ কোনো কাজে গেলে আমাদের চোখের সামনে অটোরিকশা পড়লে আমরা এই অটোরিকশার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করি। আমি প্রাক্তন টিআই মঞ্জুর সাহেবের পরে উক্ত  ফাঁড়িতে জয়েন করি। এই বৃহৎ এরিয়া কাভার করতে গেলে আমাদের একজন সার্জেন্টের সাথে একজন বা দুইজন সহযোগিতা প্রয়োজন যেটা তুলনামূলকভাবে অনেক কম। তাই এই বৃহৎ এরিয়া যদি আমরা প্রতিনিয়ত ধরতে যাই তাহলে আমাদের পর্যাপ্ত পরিমাণ পুলিশ দরকার, আর আপনারা তো জানেন ঢাকায় একটা বিশাল ঘটনা ঘটে গেছে যদি আমরা এমন করতে যাই তাহলে আমরাও আমাদেরকে অপরাধী বানিয়ে দেবে, ও দেখেনা সাজ্জাদকে পাবলিক বিভিন্ন অনৈতিক ঘুষ খাওয়া নিয়ে তাদের অপরাধ নিয়ে পরিস্থিতি ঘোলাটে করে ফেলে এই ঘটনা হিসেবে তিনি ঢাকা সার্জনদের অফিস ভাঙচুর করার ঘটনাটি তুলে ধরেন। আমাদের প্রতিবেদক নামে-বেনামে অটোরিকশা ও গ্রাম সিএনজির সমিতির বিষয়ে জানতে চাইলে, টিআই বলেন এ সমস্ত সমিতি অনেক প্রভাবশালী লোকজন নিয়ন্ত্রণ করেন, আমি একজন সাধারন সার্জেন্ট টি আই এই সমিতি ভাঙতে পারি না  আমি এ বিষয়ে আর বেশি কিছু বলতে পারছি না আমার যতটুকু বলার আমি বলছি। আমি আমার পক্ষ থেকে অভিযোগ রিকশা ও সিএনজি ধরতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি শত চেষ্টা করার পরেও আমাদের হাত থেকে কিছু অবৈধ গাড়ি চলে যায় এই অবৈধ গাড়ি ছোট বাচ্চা কিংবা কিশোর চালাতে পারবেনা আর ছোট বাচ্চারা তো প্রশ্নই উঠে না ,আর গ্রাম সিএনজি শহর এলাকায় চলতেই পারে না বাইরে চলাচল করলেও নিরাপত্তার স্বার্থে জননিরাপত্তার স্বার্থে আমাদের অভিযান চলমান থাকবে।
অবৈধ অটো রিকশা বিষয়ে বাকলিয়া থানা ওসি রনি রহিমের সাথে মুঠো ফোনে কথা বলতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন আমি নতুন জয়েন্ট করেছি বাকলিয়া থানায়।ভিবিন্ন জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশিত অবৈধ অটোরিকশার নিউজ গুলা আমার চোখে পড়েছে।কোন প্রকার অবৈধ অটোরিকশা অলি গলিতে চলতে দেয়া হবে না।আপনারা হয়তো জানেন আমি আসার পর থেকেই অবৈধ বিদুৎ খেকোঁ অটোরিকশা বিরুদ্ধে  আমাদের অভিযান চলমান রয়েছে।আমরা খুব শিগ্রই অবৈধ অটোরিকশা গুলা বন্ধ করতে সক্ষম হবো।
আলোকিত প্রতিদিন/ ১৯জুলাই ,২০২২/ মওম

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here