কচুয়ায় মসজিদ নির্মাণ ও আলোক সজ্জাকে কেন্দ্র করে সালিশী বৈঠকে হামলা; আহত-৫

0
550
প্রতিনিধি, কচুয়া (চাদঁপুর):

চাদঁপুরের কচুয়া উপজেলা হাটমুড়া গ্রামে মসজিদ নির্মাণ ও মসজিদের চারপাশে বিদ্যুৎ বাতির আলোক সজ্জাকে কেন্দ্র করে গত-১১জুলাই সোমবার আ:মতিন প্রধানের বাড়ীর সামনে সন্ধ্যায় সালিশী বৈঠকে হামলার ঘটনায় আহত ৫জন। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মোবারক হোসেন প্রধানের ছেলে মো.মোজাম্মেল হক বাদী হয়ে কচুয়া থানায় ৭জনসহ অজ্ঞাত আরোও ৮/১০জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং জিআর নং ১৯৮/২২।
এ ঘটনায় মূল আসামীরা হলেন আরিফ (২০) পিতা-আলমাছ,সফিউল্লাহ (৩০) পিতা মৃত. আছমত আলী, আলমাছ (৪৫) পিতা-মৃত.আছমত আলী, সজিব (২০) পিতা-ফজলু, সাজ্জাদ (২০) পিতা-সাকাল,সাকাল (৪০) পিতার মৃত আছমত আলী, ফজলু (৪৩) পিতা মৃত আছমত আলী। আসামীগন প্রত্যেকেই হাটমুড়া গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা। জানাযায় আসামিপক্ষগন  গত ৮জুলাই বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টার সময় নাসরিন আক্তার সমির নতুন বিল্ডিং এর মিলাদে বাধা দিয়ে ২৫হাজার টাকা মূল্যের একটি খাসি সহ ২০কেজি চাউল দাবি করেন,এনিয়ে তাদের সাথে একপর্যায়ে কথা কাটাকাটি হলে পরবর্তীতে ১০জুলাই রবিবার পবিত্র ঈদ-উল আযহার নামাজ আদায় করে আশার পর সাদেক মাষ্টারের বসত বাড়ির সামনে কোরবানির গরু জবাই করতে বাধা সৃষ্টি করে। সেখানে ও তাদের সাথে একপর্যায়ে কথা কাটাকাটি হয়।  ঐদিন ১০জুলাই সোমবার বিকেলেই ২নং পাথৈর ইউপি চেয়ারম্যান মো আক্কাস আলী মোল্লাকে বিষয়টি বাদীপক্ষ অবগত করেন। পরে স্থানীয় লোকজনের দেনদরবারকারী লোকজনকে নিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান সমাধানের নিমিত্তে হাটমুড়া মোড় নামক স্হানে বৈঠক বসে।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন আলামিন (ভিকটিম) পিতা- মো.মোতালেব,সাং-বারৈয়ারা, মাসুদ রানা (ভিকটিম) পিতা-ছাদেক মাষ্টার,সাদেক মাষ্টার পিতা মৃত জোহর আলী  সাং-হাটমুড়া, আলমগীর পিতা মোতালেব সাং-বারৈয়ারা,আক্কাস আলী মোল্লা চেয়ারম্যান পাথৈর ইউপি, রেনু মিয়া সাবেক মেম্বার-বারৈয়ারা,মোতালেব পাটোয়ারী পিতা মৃত বগু মিয়া বেপারীসহ অনেক লোকজন। এসময় বৈঠকে কথা-কাটাকাটি নিয়ে একপর্যায়ে বাদীপক্ষের লোকজন থামানোর চেষ্টা করলে আসামিপক্ষগন চেয়ারম্যান এর সিদ্ধান্ত অমান্য করে তারা লোহার রড  লাঠিসোঁটা ও রামদা হকিস্টিক দিয়ে ১নং ও ২নং সাক্ষী মোতালেব পাটোয়ারীর ছেলে আলামিন পাটোয়ারী ও ছাদেক মাষ্টারের ছেলে সৌদি প্রবাসী মাসুদ রানাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মারাত্মক ভাবে  জখম ও রক্তাক্ত করে ফেলে এবং বাদীপক্ষসহ ৬ ও ৭নং সাক্ষীকে এবং এলোপাতাড়ি ভাবে পিটিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলাফুলা জখম করে এবং গলায় থাকা ১ভরি ওজনের স্বর্ণের চেইন টানিয়া ছিড়িয়া নিয়ে যান। তবে ২নং আসামী সফিউল্লাহ ১নং সাক্ষী আলামিন কে হত্যার উদ্দেশ্য করে মাথায় প্রচন্ড আঘাত করতে থাকে।
স্হানীয় সূত্রে জানাযায় ৩নং আসামি আলমাছ মিয়ার পিতাপুত্র ভ্রাতা ঘনিষ্ঠ, তারা হাঙ্গামা ও জুলুমবাজ লোক এবং হাটমুড়া গ্রামের বারৈয়ারা মৌজার ২নাম্বার দলিল জাল করিয়া একের সম্পত্তি অন্যকে দেওয়ার অনেক প্রমান আছে,  তারা বর্তমানে দেশে জোর জব্বর করে রাজত্ব কায়েম করছেন। তারা চুরি ডাকাতি করে এবং সরকারি জায়গাগুলো ভূয়া দলিলাদী করে জায়গা দখল করে নিচ্ছে বলে ও অভিযোগ পাওয়া যায়। তবে জানাযায় মাথায় প্রচন্ড আঘাত প্রাপ্ত আলামিন পাটোয়ারী ও সৌদি প্রবাসী মাসুদ রানা ও বাদীসহ বর্তমানে দাউদকান্দি উপজেলার (গৌরীপুর) স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন। মাথায় প্রচন্ড আঘাত প্রাপ্ত আলামিনের সুস্থতা আসংখ্যাজনক।
তবে বাদীপক্ষ সালিশীর মধ্যে চেয়ারম্যান মোঃ আক্কাস আলী মোল্লা  এঘটনাটিকে সমাধানে ব্যর্থ হওয়ায় কচুয়া থানায় লিখিত আকারে জিআর মামলা রুজি করিয়া আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করেন। যার আদেশ নং সি.এ,বি.এ-৭/২২(৪)।
আলোকিত প্রতিদিন/ ২০ জুলাই ,২০২২/ মওম

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here