সবুজ পাতার ফাঁকে ফাঁকে উকি দিচ্ছে খানসামার মাল্টা বাগান

0
305

প্রতিনিধি,খানসামা (দিনাজপুর):

বাতাসে টক-মিষ্টির গন্ধ। সবুজ পাতার ফাঁকে ফাঁকে উকি দিচ্ছে মাল্টা। নুয়ে পড়েছে ডালপালা। এ দৃশ্য দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার ভেড়ভেড়ী ইউনিয়নের সহজপুর গ্রামের বাসিন্দা সাংবাদিক মোজাফফর হোসেনের বাগানে। সেখানে গিয়ে গাছে গাছে মাল্টার ছড়াছড়ি দেখে বিমোহিত হবেন যে কেউ। জানা গেছে, বছর দেড়েক আগে প্রায় ৬০ শতাংশ জমির ওপর নিজের গড়া শখের বাগান বাড়িতে মাল্টা,কমলা,আংগুরের শতাধিক চারা দিনাজপুরের একটি নার্সারী থেকে সংগ্রহ করে সেগুলো তার বাগানে রোপণ করে সাংবাদিক মোজাফফর হোসেন। ওই বাগান দেখভালের জন্য কোন কর্মচারী না থাকলেও তিনি নিজেই তার পরিবারের লোকজনই দেখভাল করেন ওই বাগানবাড়ি ও ফল বাগান। কেঁচো কম্পোস্ট, ভার্মিক পেস্ট, খৈল,গোবর, জৈবসার আর প্রাকৃতিকভাবে পরিচর্যায় বেড়ে ওঠা বাগানের ওই সব গাছে এখন থোকায় থোকায় ঝুঁলছে মাল্টা আর কমলালেবু। ফলের ভারে পুরো বাগানের গাছগুলো যেন নুয়ে পড়েছে।
এ ব্যাপারে বাগানের মালিক সাংবাদিক মোজাফফর হোসেন বলেন, আমি আমার এই বাগানবাড়িতে শখের বসে দিনাজপুর থেকে কিছু মাল্টাচারা সংগ্রহ করে লাগিয়েছি। আলহামদুলিল্লাহ.। রাসয়নিক সার ও ওষুধ ছাড়াই জৈবসার আর প্রাকৃতিক উপায়ে পরিচর্যা ও নিয়মিত পানি দেওয়ায় ফল আসছে গাছগুলোতে। তিনি আরও বলেন,গাছে গাছে মাল্টা ঝুঁলে থাকার দৃশ্য দেখে স্থানীয়দের অনেকেই অভিভুত হচ্ছেন। ‘বিক্রির প্রয়োজন না থাকায় পুষ্টির বিষয়টি মাথায় রেখে বাগানের উৎপাদিত মাল্টা নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে আÍীয়-স্বজনসহ প্রতিবেশি ও স্থানীয় দুস্থ লোকজনের মাঝে এসব মাল্টা বিলিয়ে দিব।
এছাড়াও এই বাগানের ব্যাপারে সাংবাদিক মোজাফফর হোসেনের ছেলে শেখ নেছারুল ইসলাম জানান,ফরমালিন কিংবা বিষাক্ত কারবাইডের ভয়ে মানুষ যখন বাজারের ফলমুল কেনায় মুখফিরিয়ে নিচ্ছে ঠিক তখনই, আমার বাবা শখের বসে আমাদের বাগানে লাগিয়েছেন সার-ওষুধ,কীটনাশক ও ফরমালিনমুক্ত মাল্টা,আংগুর ও কমলাসহ বিভিন্ন ফলের গাছ। আর সেগুলোতে এখন প্রচুর ফল ধরেছে। পুষ্টির চাহিদা পূরণে অন্য পেশার পাশাপাশি আমার বাবার মত অন্যান্য শিক্ষিত লোকজনের এ ধরণের ফল চাষে এগিয়ে আসা উচিত।

আলোকিত প্রতিদিন/ ২২ জুলাই ,২০২২/ মওম

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here