প্রতিনিধি,খানসামা (দিনাজপুর):
বাংলাদেশ রোল মডেলে পরিনিত হয়েছে। হয়েছে অনেকে উন্নয়ন, অনেক কিংবদন্তির মৃত্যু। নিম্নআয়ের দেশ থেকে হয়েছে মধ্যম আয়ের দেশ। উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে আমাদের বাংলাদেশ। এরই ধারাবাহিকতায় উন্নয়নের ছোঁয়া পেয়েছে দিনাজপুরের খানসামা উপজেলা। বর্তমান সরকার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আসার পর থেকেই অনেক কিছুর পরিবর্তন পেয়েছে এই উপজেলায়। গত ১৩ বছর আগে যে উপজেলাটি ছিল একটি অনুন্নত, সেই উপজেলার চিত্র পাল্টে গেছে এই সরকার আসার পর। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর খানসামার মানুষ একবারের জন্য পেয়েছিল হাসান আলী মন্ত্রীকে। ২০০৮ সালে সরকার গঠন করার পর, দ্বিতীয়বারের মতো খানসামা উপজেলার মানুষ আবারো পেয়েছিল মন্ত্রী। মরহুম হাসান আলী মন্ত্রী সুযোগ্য পুত্র আবুল হাসান মাহমুদ আলী। তিনি প্রথমে ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয় দায়ত্বি পান পরবর্তীতে পররাষ্ট্র মন্ত্রী হয়িেছলেন। বর্তমানে তিনি অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি। তবে এলাকার মানুষের আশা তিনি পুনরায় আবার মন্ত্রীত্ব ফিরে পাবেন। এর পরের গল্পটা সবারই জানা উন্নয়নের শিখরে পৌঁছে গেছে খানসামা। এলাকাবাসীর দাবি, জনগণের আর্থসামাজিক উন্নয়ন ও খানসামায় বেকারত্ব দূরীকরণে খুব দ্রুতই পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত।
উন্নয়নমূলক কাজের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল:
উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় উপজেলা পরিষদগুলোতে নির্মাণ হচ্ছে নতুন কমপ্লেক্স ভবন ও হলরুম এরই ধারাবাহিকতায় খানসামায় নির্মিত হয়েছে। বেকারত্ব দূরীকরণে উন্নত প্রশিক্ষণের জন্য উপজেলার সদরে টিটিসি সেন্টার নির্মিত; যাহা উদ্বোধনের অপেক্ষায়। জনগণের চিকিৎসা সেবা প্রদানের জন্য উপজেলা সদরে মা ও শিশু, ২০ শয্যা হাসপাতাল দুটি নির্মাণ এবং পাকেরহাটে পূরবেই নির্মিত খানসামা উপজেলা স্বাসথ্য কমপ্লেক্স; ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় পরিনত। সারা দেশের ন্যায় খানসামা উপজেলা সদরে অবস্থিত মডেল মসজিদ। খানসামা ও বীরগঞ্জ উপজেলার সেতুবন্ধনে নির্মাণ হচ্ছে জয়টিয়া ব্রীজ; বর্তমানে নির্মাণাধীন। রাস্তার বেহাল দশা রোধে আঞ্চলিক মহাসড়ক তৈরিসহ বিভিন্ন কাঁচা রাস্তা হয়েছে পাকা; যাহা নজিরবিহীন। শিক্ষার মান উন্নয়নে এসেছে পরিবর্তন পাকেরহাট ডিগ্রি কলেজ ও খানসামা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় হয়েছে জাতীয়করণ। আগুন নিয়ন্ত্রণে তৈরি করা হয়েছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেনস। নির্মিত হয়েছে ১নং আলোকঝাড়ীর ইউনিয়ন পরিষদের নিজস্ব ভবন। উপজেলার বীর সেনারা পেয়েছে নিজস্ব মুক্তিযোদ্ধা ভবন। উপজেলাটি শতভাগ বিদ্যুৎতে রূপান্তরিত হয়েছে, এর জন্য নির্মাণ করা হয়েছে সাব স্টেশন। জমি রেজিস্টারে ভোগান্তি কমাতে নির্মিত হয়েছে সাব-রেজিসট্রি নিজস্ব ভবন। দেশ ও দেশের বাইরে থেকে আসা পরিদর্শকগণের থাকার জন্য নির্মিত হয়েছে জেলা ডাক বাংলা। শিশুদের চিত্ত বিনোদনের জন্য হয়েছে শিশুপার্ক। এছাড়াও হয়েছে অসংখ্য ব্রীজ, কালভার্ট। আরো হয়েছে উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ২/৪ তলা ভবন। এছাড়াও আরো বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ হয়েছে।
এরই মধ্যে বিশ্বব্যাপী আক্রান্ত করোনা ভাইরাসে। মরণব্যাধি এই ভাইরাসের প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে অনেকটাই। যা বর্তমানে বিরাজমান। এই মহামারী রোধে উন্নয়ন কিছুটা বাধাগ্রস্থ হয়েছে। সব প্রতিকূলতা ডিঙ্গিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে খানসামা এই প্রত্যাশায় সাধারণ জনগণ। খানসামা উপজেলা কেঁদেছিল তৃণমূল থেকে উঠে আসা একজন বর্ষিয়ান রাজনীতিবিদ, দুর্দিনের সংগ্রামী কর্মী, উপজেলা আওয়ামী লীগের দীর্ঘ ১৮ বছরের সফল সাবেক সাধারণ সম্পাদক , অসংখ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ার কারিগর, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান, জেলা আওয়ামী লীগের দীর্ঘ দিনের সদস্য ও বর্তমান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জননেতা আবু হাতেম এর মৃত্যুতে। হাজারো মানুষের অংশগ্রহনে বর্ষিয়ান রাজনীতিবিদ জানাযা শেষে কেনদ্রীয় কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে। খানসামাবাসী সেদিন ছিল অশ্রুসিক্ত।
আলোকিত প্রতিদিন/ ২৬ জুলাই ,২০২২/ মওম