মিঠাপুকুরে কিশোরী অপহরণ ও ধর্ষণ মামলায় দুইজনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড

0
257
মিল্লাত হাসানঃ
রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার মুরাদপুর গ্রামের এক কিশোরীকে অপহরণ করে গণধর্ষণ করার ঘটনায় দায়ের করা মামলার রায় দীর্ঘ ২০ বছর পর প্রদান করেছে আদালত। রায়ে দুই ধর্ষককে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেয় আদালত।বৃহস্পতিবার দুপুর ১২ টায় রংপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালত-১ এর বিচারক মোস্তফা কামাল দুই আসামীর উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০০২ সালের ১৪ মে মিঠাপুকুর উপজেলার মুরাদপুর গ্রামের আব্দুল আজিজের নাবালিকা কিশোরী মেয়ে একই গ্রামে তার বড় বোনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলো। ওই দিন রাত ৮ টার দিকে কিশোরী মেয়েটি বাড়ির পার্শ্বেই টিউবওয়েল থেকে পানি আনতে যায়। এসময় আগে থেকেই ওত পেতে থাকা আসামী রফিকুল ইসলাম ও শাহ আলম কিশোরী মেয়েটিকে অস্ত্রের মুখে অপহরণ করে, বাড়ির অদূরে একটি ক্ষেতে নিয়ে যেয়ে দুইজন মিলে উপযুপরি ধর্ষণ করে। এসময় মেয়েটির আর্তচিৎকারে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে আসামীরা পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় ধর্ষিতা কিশোরীর বাবা আব্দুল আজিজ বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করতে গেলে পুলিশ মামলা নেয়নি। পরে তিনি আদালতে মামলা দায়ের করলে বিজ্ঞ বিচারক থানাকে মামলাটি রেকর্ড করে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহনের আদেশ দেয়। তদন্ত শেষে ওই বছরের ৩০ জুন তারিখে মামলার তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তা এস আই খলিলুর রহমান দুই আসামীর বিরুদ্ধে চার্জশীট আদালতে দাখিল করে।মামলায় ৮ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য ও জেরা শেষে বিজ্ঞ বিচারক আসামী রফিকুল ইসলাম ও শাহ আলমকে দোষি সাব্যস্ত করে অপহরণের অভিযোগে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো এক বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেন।অন্যদিকে গনধর্ষণের অভিযোগে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং এক লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দেন। আদালত উভয়দণ্ডই এক সাথে পালন করার আদেশ দেন। সরকার পক্ষের মামলা পরিচালনাকারী বিশেষ পিপি অ্যাডভোকেট রফিক হাসনাইন জানিয়েছেন, ২০ বছর পরে হলেও নাবালিকা কিশোরী মেয়েকে অপহরণ করে গনধর্ষণের অভিযোগে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ প্রদান করেছেন। এ রায়ে বাদী ও সরকার পক্ষ সন্তুষ্টি প্রকাশ করছে। রায় ঘোষনার পর আসামীদের আদালতের হাজত খানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
আলোকিত প্রতিদিন/ ২৯জুলাই ,২০২২/ মওম

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here