ক্রাইম রিপোর্টার :
মানিকগঞ্জ জেলার ঘিওর উপজেলার হিজুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা মমিনুর রশিদ মমিন, পিতা আব্দুল লতিফ মোল্লাহ । ১৯৮৩ সালে একই গ্রামের ১২ বছর বয়সী এতিম রুবিয়া আক্তার এর নিকট হতে নাবালকের সম্পত্তি ভুল বুঝিয়ে দলিল করে নেয় মমিনুর রশিদ মমিন এর বাবা। শুরু হয় বাপ বেটার অপকর্ম। একই গ্রামের নওয়াব আলী মল্লিকের নিকট জমি বিক্রি করে সব টাকা বুঝে পাবার পরেও জমি রেজিস্ট্রি করে দেয়নি মর্মে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এরপর টেপড়ায় মানুষের সম্পত্তি জবর দখল করে বাড়ি বানিয়ে সেখানে বসতি স্হাপন করে। রোড এক্সিডেন্টে মারা জান মমিনুর রশিদ মমিন এর বাবা লতিফ মোল্লা। এরপর শুরু হয় মমিনের বেপরোয়া জীবন যাপন, মাথায় চেপে বসে অবৈধ ব্যবসার নেশা। বি এন পি ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় সেচ্ছাসেবক দলের শিবালয় উপজেলার শাখার সহসভাপতি ছিলেন। আরিচা, পাটুরিয়া ফেরিঘাট কেন্দ্রীক চুরাকারবারীর সাথে জড়িয়ে পড়েন। তৈরী করেন চোরাকারবারি সিন্ডিকেট। চুড়া কারবারির টাকা দিয়ে টিনের দোকান দেন। তাঁর অবৈধ মদ গাঁজা ফেন্সিডিলের ব্যবসা গোপনে চালিয়ে নিতে প্রকাশ্যে টিনের ব্যবসা করেন। সঙ্গী হিসেবে বেছে নেন মমিনের ফুফাতো ভাই আরেক ছাত্র দল নেতা আশরাফুল্লাহ মুরাদকে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি এ প্রতিবেদককে জানান মমিনুর রশিদ মমিন ধীরে ধীরে ইয়াবা বিক্রির সাথেও জড়িয়ে পড়েন। আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় এলে সরকারের নাম ভাঙ্গিয়ে দুই নম্বরী পথে দেদারসে টাকা কামাতে থাকেন। কালো টাকা সাদা করতে ব্যবসার পরিধি বাড়িয়ে রড সিমেন্টের দোকান খুলে বসেন। মমিনুর রশিদ মমিন তার অবৈধ ব্যবসার সাথী হিসেবে যুক্ত করেন তাঁর বিশ্বস্ত সহচরদের । ঢাকা, মানিকগঞ্জ, টেপড়া,হিজুলিয়া বাজারসহ এহেন স্হান নেই যেখানে মমিনুর রশিদ মমিন এর নামে বেনামে জমি,বাড়ি, ফ্ল্যাট, মার্কেট নেই। ব্যংকে কোটি কোটি টাকা গচ্ছিত আছে বলে জানা যায়। আনুমানিক ৪০ বছর বয়সী মমিনুর রশিদ মমিন ২০/২২ বছরে শত শত কোটি টাকার মালিক হন । এ যেন আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ। অনুসন্ধানে বেড়িয়ে আসে তাঁর এই চাঞ্চল্যকর তথ্য।বিভিন্ন সময় বিভিন্ন মিথ্যা ভুয়া বানোয়াট পদবী ব্যবহার করেন তিনি। চোরাকারবারির বিষয় ঢাকতে হিজুলিয়া ভি আর এন হাইস্কুল এর ম্যানেজিং কমিটিতে নাম না থাকার পরও নিজের নামের পাশে প্রতিষ্ঠাতা লিখেন। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান মমিনুর রশিদ মমিন সাহেব হিজুলিয়া ভি আর এন হাইস্কুলের প্রতিষ্ঠাতা নন। মমিনুর রশিদ মমিন এর মিথ্যা বানোয়াট ভুয়া প্রতিষ্ঠাতা পদবী ব্যবহার করার বিষয়ে প্রতিবাদ করতে যাওযায় তাঁর রোষানলের স্বীকার হয়ে এখন মিথ্যা ভাবে নানা রূপ হয়রানির স্বীকার হচ্ছি। প্রশাসনের নাকের ডগায় বসে মাস্তানি করে অবৈধ বেআইনি ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন মমিন সাহেব । এ বিষয়ে প্রশাসন নির্বিকার। এলাকার সাধারণ মানুষ ভয়ে তার বিরুদ্ধে মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছেন না।
হিজুলিয়া ভি আর এন হাইস্কুল এর সভাপতি জনাব সৈয়দ মো. এনামুল হুদার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান মমিনুর রশিদ মমিন জোরপূর্বক আমার নিকট হতে পদত্যাগ পত্র নিয়ে তিনি সভাপতি হবার জন্য চেষ্টা করছেন। আমাকে নানা রূপ ভয়ভীতি হুমকি ধামকি দেবার কারণে আমি মমিন গংদের হাত থেকে প্রাণ বাঁচাতে ঘিওর থানায় ২৯/০৭/২০২২ তারিখে সাধারণ ডাইরি নং ১১৩০ দায়ের করেছি।
মমিনুর রশিদ মমিন সাহেবের সাথে এ প্রতিবেদক তাঁর বক্তব্য সংগ্রহ করতে টেপড়ার দোকানে গেলে কোন বক্তব্য না দিয়ে উল্টো ভয় ভীতি দেখিয়ে বলেন, কোন নিউজ করলে মেরে লাশ পদ্যা নদীতে ভাসিয়ে দেব।
আলোকিত প্রতিদিন/এপি