জোটের টুইট একাধিক বার্তায় মহাসচিব জানিয়েছেন, সন্ত্রাসবাদ দমনের উদ্দেশে বৈঠকগুলোতে সহযোগিতার ক্ষেত্র এবং উভয়পক্ষের এ বিষয়ে চিন্তাভাবনা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, চিফ অফ জেনারেল স্টাফ লেফটেন্যান্ট জেনারেল আতাউল এইচ হাসান ও পুলিশ মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদের সঙ্গে মহাসচিব বৈঠক করেছেন। সামরিক বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গেও তিনি বৈঠক করেছেন।
সন্ত্রাসবাদ দমনে ইসলামিক জোট একটি নতুন প্ল্যাটফর্ম জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সাধারণভাবে সন্ত্রাসবাদ দমনে আমরা পশ্চিমা দুনিয়ার উদ্যোগকে বেশি দেখি। তাদের পাশাপাশি ইসলামিক দেশগুলোর ওই জোট বড় ধরনের গুরুত্ব বহন করে ‘পশ্চিমা দেশগুলোর উদ্যোগের পাশাপাশি ইসলামিক জোটে বাংলাদেশ প্রথম থেকেই যুক্ত এবং ভবিষ্যতেও থাকবো জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা এখন ওই জোটে আমাদের প্রতিনিধি পাঠানোর বিষয়টি গুরুত্বসহ বিবেচনা করছি।’তিনি বলেন, জোটের বর্তমানে সদস্য সংখ্যা ৪১টি দেশ, তাদের মধ্যে ২৭টি দেশ ইতিমধ্যে তাদের প্রতিনিধি দল ওই জোটে পাঠিয়েছে। মহাসচিব বৈঠকগুলোতে প্রতিনিধি দল পাঠানোর জন্য আমাদের অনুরোধ করেছেন।
উল্লেখ্য ওই জোটে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে চারটি পদ সৃজন করা আছে। এরমধ্যে একটি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের, একটি পুলিশের এবং বাকি দুটি সামরিক বাহিনীর জন্য।এই জোটের বড় একটি উদ্দেশ্য হচ্ছে সন্ত্রাসের সঙ্গে ইসলামের কোনও সম্পর্ক নেই—এই বার্তাটি সবাইকে দেওয়া। এসবক্ষেত্রে বাংলাদেশের অনেক সাফল্য আছে বলে জানান তিনি। তিনি বলেন, বাংলাদেশের সাফল্য এবং উদ্যোগগুলো অন্য দেশগুলোকে জানানোর জন্যও অনুরোধ করেছেন মহাসচিব। গত মার্চে সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রী ফয়সাল বিন ফারহান আল সৌদের ঢাকা সফরের সময়ে সন্ত্রাসবাদ দমন এবং সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে তিনি জানান।
২০১৫ সালে গঠিত সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটে প্রথম দেশ হিসাবে বাংলাদেশ যোগ দেয়। এর সহযোগী দেশ হিসাবে আছে যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র এবং ফ্রান্স। জোটের চেয়ারম্যান সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মেদ বিন সালমান। জোটের সকল ব্যয় সৌদি কর্তৃপক্ষ বহন করে।
আলোকিত প্রতিদিন/ ২৯জুলাই ,২০২২/ মওম