ধর্মীয় অনুভুতিকে পুজিঁ করে জমি দখলের অভিযোগে দিনাজপুরে সংবাদ সম্মেলন

0
250
প্রতিনিধি ,দিনাজপুর: 
ধর্ম মানুষের জীবনকে পরিচালনা করার চালিকা শক্তি। আর এই চালিকা শক্তিকে পুঁজি করে যারা নিজেদের স্বার্থ রক্ষার হাতিয়ার হিসেবে ব্যাক্তি স্বার্থ হাসিলের চেষ্টা করে, তারা কখনোই কোনো ধর্মের প্রকৃত অনুসারী হতে পারে না । সংবাদ সম্মেলনে এমনটাই মন্তব‍্য করেন ভুক্তভোগী পরিবারের এক সদস‍্য। সংবাদ সম্মেলনে ভুক্ত ভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে বলেন, দিনাজপুর শহরস্থ ঘাসিপাড়ায় মৃত মাহাতাব উদ্দিন আহম্মেদের পুত্র বিছানায় শয‍্যাশায়ী প‍্যারালাইসড মোঃ নুরুল হূদার ২৬ শতক জমি রয়েছে। তার নিজের জমি থাকা সত্ত্বেও অর্থের অভাবে বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুর দিকে ধাবিত হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, একটি স্বার্থান্বেষী কুচক্রী মহল তাদের ব্যাক্তি স্বার্থ হাসিল করার জন‍্য হিন্দু সম্প্রদায়ের কিছু ব‍্যক্তিকে উষ্কে দিয়ে লোভ দেখিয়ে বিরোধ সৃষ্টি করে সম্পত্তি দখলের অপচেষ্টা চালাচ্ছে।তারা সুকৌশল রাতারাতি ফাঁকা জমিতে হিন্দু সম্প্রদায়ের মুর্তি বসিয়ে মন্দির স্থাপনার একটি নিছক কাহিনী তৈরী করে নুরুল হুদার নামীয় জমিটি গ্রাস করার চেষ্টায় মেতে উঠেছে। কিন্তু ওই জমিতে কোনো সময় মন্দিরের চিহ্ন ছিল না। কুচক্রি মহলটি সরকারের ভাব-মূর্তি ক্ষুন্ন করার জন্য নিজেদেরকে দলীয় পরিচয় দিয়ে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে।
বৃহস্পতিবার ২৮ জুলাই সকাল ১১টায় দিনাজপুর প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন দিনাজপুর শহরের ঘাষিপাড়া মহল্লার মৃত মাহতাব উদ্দিন আহম্মেদ’র পুত্র অসুস্থ প্যারালাইজড রোগী মোঃ নুরুল হুদা। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন তার ছোট ভাই মোহাম্মদ নুরুজ্জামান। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমার নামে উক্ত জমির প্রিন্টেড পর্চা রয়েছে। গত ১৩-০৭-১৯৬৭ ইং তারিখে ১৬৭৩৫ নম্বর রেজিষ্ট্রি কবলা দলিলমূলে ০.২৬ একর জমি আমি ক্রয় করি।
পরবর্তিতে আমি উক্ত কবলা দলিলের ভিত্তিতে ১ঢ/২৯৮/৬৯-৭০ নং জমা খারিজ মোকদ্দমায় নিজ নামে জমা খারিজ করে নিয়েছি। এবং সংশোধিত ১৫০ নং এস এ খতিয়ানে আমার নাম অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। উক্ত জমি ভোগ দখলে থাকাবস্থায় হাল সন পর্যন্ত খাজনা পরিশোধ করে আসছি। গত কিছুদিন ধরে জমিতে আর্থিক সুবিধা নেয়ার জন্য একটি কুচক্রী মহল মরিয়া হয়ে উঠে। তারা পার্শ্ববর্তী গনেশ ও কার্তিক নামে দুই সহোদর ভাইকে দিয়ে উক্ত জমির ভূয়া হুকুমনামা ও জমিদারের খাজনার রশিদ তৈরী করে সম্পত্তি থেকে সুবিধা নেয়ার জন্য ধর্মীয় অনুভূতিকে কাজে লাগিয়ে এলাকায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের পায়তারা করছে। ইতোপূর্বে গনেশ রায় ও কার্তিক রায় এর পিতা ফেকু মাহাতো গত ২০১৬ সালে একটি মামলা আনয়ন করেছিলো। যার মামলা নং-৬০/১৬। ফেকু মাহাতো’র মৃত্যুর পর তার পুত্ররা মামলায় পক্ষভূক্ত হয়ে সঠিক কাগজপত্র উপস্থাপন না করে স্থানীয়ভাবে আপোষ-মিমাংসার কথা বলে মামলা প্রত্যাহার করে নেয়। পরবর্তীতে স্থানীয় কুচক্রী মহলের প্ররোচনায় পড়ে গনেশ ৪১/২১ নং পূর্বের ন্যায় আরেকটি মামলা আনয়ন করেন। কিন্তু তাদের নিকট উক্ত জমির কোনরুপ বৈধ কাগজপত্র নেই।
এদিকে তারা গত কয়েকদিন পূর্বে দিনাজপুর প্রেসক্লাবে একটি সংবাদ সম্মেলনে ঐ জমির মালিকানা ও ভোগদখল তাদের বলে মিথ্যা দাবী উপস্থপান করেন। প্রকৃতপক্ষে ঐ জমির পার্শ্বে ৫ শতক একটি জমিতে বসবাস করারও তাদের কাছে কোনরুপ বৈধ কাগজপত্র নেই। অথচ তারা দীর্ঘদিন ধরে সেই জমিতেই বসবাস করে আসছে। বর্তমানে কুচক্রী মহলের প্ররোচনায় পড়ে আর্থিক সুবিধা নেয়ার জন্য তারা এমন মিথ্যা বানোয়াট অভিযোগ করছেন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রকৃত সত্য উদঘাটন ও এর সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দায়িত্বরত সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট দাবী জানিয়েছেন নুরুল হুদা ও তার স্ত্রীসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যগন।
আলোকিত প্রতিদিন/ ০১আগস্ট ,২০২২/ মওম

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here