নিজস্ব প্রতিবেদক:
বাড়ির আঙিনা থেকে শুরু করে যেকোনও খালি জায়গার যথোপযুক্ত ব্যবহারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘কারও এক ইঞ্চি জমি যেন খালি পড়ে না থাকে। প্রত্যেকেই কাজ করবে। যেখানেই খালি জায়গা, সেখানেই উৎপাদনে কাজ করবে। আওয়ামী লীগের প্রত্যেক নেতাকর্মীকেও এটি করতে হবে। পাশাপাশি দেশের মানুষকে এই কাজে উদ্বুদ্ধ করতে হবে।’ ১ আগস্ট সোমবার কৃষকলীগের স্বেচ্ছায় রক্ত এবং প্লাজমাদান কর্মসূচিতে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় তিনি রক্তদানে সক্ষম ব্যক্তিদের রক্ত দেওয়া আহ্বান জানান।
উন্নত দেশগুলো যখন হিমশিম খায়, তখন আমরা সাশ্রয়ী হচ্ছি উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী, ‘এটার অর্থ এই নয়, আমরা লুটপাট করছি। লুটপাট তো বিএনপি করেছে। দেখেছি, বিএনপি নেতারা হারিকেন নিয়ে আন্দোলন করছে। তাদের হাতে হারিকেনই ধরিয়ে দিতে হবে। আর মানুষকে ভালো রাখতে আমরা কাজ করছি।‘
জনসংখ্যা নিয়ে সমালোচনাকারীদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের জনসংখ্যা এখন সাড়ে ১৬ কোটি। এই জনসংখ্যার হিসাবও কারও কারও পছন্দ হয় না। কেন? তাহলে তারা নিজেরাই সন্তান জন্ম দিক। আমরা খাবার দেবো। আমরা চাই, প্রতিটি পরিবার সুখী সমৃদ্ধ হবে।’
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘জাতির পিতার হত্যার পর দেশের কী উন্নতি হয়েছে? চলে গেলো মার্শাল ল’তে। ক্ষমতা দখল করে কুক্ষিগত করা হলো। তারা ক্ষমতায় এসে পুরো নির্বাচনি ব্যবস্থা ধ্বংস করে। ইনডেমনিটি দেয়। জাতির পিতার খুনিদের রক্ষা করে। যুদ্ধাপরাধীদের ক্ষমতায় নিয়ে আসে। স্বাধীনতার চেতনা থেকে দেশকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার সব আয়োজন করলো। মিথ্যা অপবাদ দিয়ে আমাদের চোর ডাকাত বানালো। দেশের মানুষ কী পেলো?’
প্রকৃত গণতন্ত্র থাকলে দেশের যে উন্নতি হয় এটা আজ প্রমাণিত উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ এটা প্রমাণ করে দিয়েছে। ৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে রাস্তাঘাট, স্কুল-কলেজ অবকাঠামো উন্নয়ন, স্বাস্থ্যসেবায় কমিউনিটি ক্লিনিক করে দেওয়াসহ নানা কাজ করেছি। বলতে গেলে ৯৬ থেকে ২০০১ সমৃদ্ধির সময় ছিল বাংলাদেশের। পরে তারা এসে কী করলো? ভিক্ষাবৃত্তি বা দেশকে পরনির্ভরশীল করেছে। দুর্নীতি, খুন-খারাবি আর লুটপাট ছিল স্বাভাবিক চিত্র। ভোটের অধিকারই ছিল না মানুষের। বিএনপির সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে ব্যালট ছিনিয়ে নিয়েছে। নির্বাচনের কথা তারা বলে কোন মুখে?
তিনি বলেন, ‘জাতির পিতাকে হত্যা করে দেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছিল। ভবিষ্যতে যেন আর কেউ এমন ছিনিমিনি খেলতে না পারে।’ কৃষকলীগের সভাপতি সমীর চন্দের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক উম্মে কুলসুম স্মৃতির সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী এবং ড. আব্দুর রাজ্জাক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আফজাল হোসেন, কৃষি এবং সমবায় সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ ।
আলোকিত প্রতিদিন/ ০১আগস্ট ,২০২২/ মওম