আবু সায়েম:

কক্সবাজারে ১০ দিন ব্যাপী বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলা এবং সামাজিক বনায়নের উপকারভোগীদের লভ্যাংশ প্রদানসহ সমাপনী অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে। এসময় নির্বাচিত তিনজন নার্সারী মালিকদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ ও ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।
২ আগষ্ট (মঙ্গলবার) বিকেল ৫ টায় শহীদ দৌলত ময়দানে কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের সহকারী বনসংরক্ষক ড: প্রান্তোষ চন্দ্র রায়ের স্বাগত বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো: সারওয়ার আলম। সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) জাহিদ ইকবাল।
উক্ত সমাপনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো: আনোয়ার হোসেন সরকার বলেন, বৃক্ষমেলা ও বৃক্ষ রোপণ অভিযানের মাধ্যমে আমরা সকলে একত্রিত হতে পেরেছি। ২৫ লক্ষ টাকার চারা বিক্রি হয়েছে, এ বৃক্ষমেলায়। আমি মনে করি মেলা সফল ও স্বার্থক হয়েছে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) জাহিদ ইকবাল বলেন, জেলা প্রশাসন ও বনবিভাগের যৌথ উদ্যোগে এবারের বৃক্ষমেলায় সকলের অংশগ্রহণ সত্যি প্রশংসনীয়। এবারের মেলায় ছাত্রছাত্রী, মহিলা, শিশু এবং সকলের অংশগ্রহণ মেলা সফল ও স্বার্থকতায় পরিপূর্ণতায় রুপ দিয়েছে। দীর্ঘ করোনাকালীন প্রায় ৩ বছর বৃক্ষমেলা বন্ধ থাকায় এবারের মেলায় পর্যাপ্ত চারা বিক্রি হয়েছে। মেলা সফল ও স্বার্থকতায় রুপ দেওয়ায় তিনি বনবিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।
সমাপনী অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো: সারওয়ার আলম বলেন, বৃক্ষপ্রাণে প্রকৃতি-প্রতিবেশ, আগামী প্রজন্মের টেকসই বাংলাদেশ” এ শ্লোগানকে সামনে রেখে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন, বন বিভাগের যৌথ উদ্যোগে ১০ দিন পর্যন্ত বৃক্ষরোপন অভিযান ও বৃক্ষ মেলা আজকে সম্পন্ন হয়েছে। মেলার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সকলে সহযোগিতা করায় সকলকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।
তিনি আরো বলেন, ১৯৭৩ সালে সামাজিক বনায়নের অংশ হিসেবে তৎকালীন রেসকোর্স ময়দান তথা বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নারিকেল গাছ রোপণের মাধ্যমে বৃক্ষরোপণ কার্যক্রমের শুভ সূচনা করেছিলেন। সেই থেকে আজ অবধি পর্যন্ত সারা বাংলাদেশে বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষ মেলা আয়োজন হয়। দীর্ঘ করোনাকালীন পর এবারের বৃক্ষমেলায় ৩০ লক্ষ টাকার চারা বিক্রি হয়েছে। বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষ মেলায় সকলে শামিল হওয়ায় তিনি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
এবারের বৃক্ষরোপণ সমাপনী অনুষ্ঠানে ধোয়াপালং রেঞ্জের খুনিয়াপালং ও ধোয়াপালং বিটে সামাজিক বনায়নের উপকারভোগীদের মাঝে সর্বমোট ১ কোটি ৭৪ লক্ষ টাকার লভ্যাংশ বিতরণ করা হয়। সমাপনী অনুষ্ঠানে নির্বাচিত ৩টি নার্সারী মালিকদের মাঝে ক্রেস্ট ও সম্মাননা প্রদান করা হয়।
উক্ত অনুষ্ঠানে কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের সহকারী বনসংরক্ষক শ্যামল কুমার ঘোষ, এ্যাড: আয়াছুর রহমান, নেকমের ডেপুটি ডিরেক্টর ড: শফিকুর রহমান, স্পেশাল টিমের ওসি সমীর রঞ্জন সাহা, ধোয়াপালং রেঞ্জে কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসাইন, মেহেরঘোনা রেঞ্জ কর্মকর্তা রিয়াজ রহমানসহ বনবিভাগের বিট কর্মকর্তা, স্টাফ এবং দর্শনার্থী উপস্থিত ছিলেন।
আলোকিত প্রতিদিন/০২ আগস্ট ২০২২/জ কা তা