লুৎফর রহমান উজ্জল:
টাঙ্গাইলের সখিপুর উপজেলার যাদবপুর ইউনিয়নের যাদবপুর গ্রামে কবিরাজের ভুল চিকিৎসায় এক গৃহবধুর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে । নিহত গৃহবধূর নাম তাসলিমা( ২২)। ২ আগস্ট মঙ্গলবার দুপুর বারোটার দিকে এই ঘটনা ঘটে। মৃত তাসলিমা যাদবপুর গ্রামের মোতালেব হোসেনের মেয়ে।
মৃতের পরিবার ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায় -দেড় বছর আগে সখীপুর উপজেলার পেকুয়া উত্তর পাড়ার রাসেলের সাথে তাসলিমার বিয়ে হয় । গত ১০-১৫ দিন আগে তাসলিমা হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে। এ সময় তাসলিমার বাপের বাড়ির মানুষ তাকে ডাক্তারের কাছে নেয়ার কথা বললেও শ্বশুরবাড়ির মানুষ গ্রাম্য কবিরাজের শরণাপন্ন হয় । সেই মোতাবেক বেড়বাড়ি গ্রামের দুই কবিরাজ আহসান ও আবুলের সাথে ৬০০০ টাকায় রোগীকে ভালো করে দেয়ার চুক্তি হয় । পরে কবিরাজ আবুল ও আহসান তাসলিমাকে বিভিন্ন গাছপালার ঔষুধ দেয়। ঘটনার আগের রাতে কবিরাজ আবুল ও আহসান তাসলিমার নাকে সিরিন্জ দিয়ে তরল কোন কিছু প্রবেশ করায়। তারপর থেকে তাসলিমা যন্ত্রণায় ছটফট করতে থাকে। পরে মঙ্গলবার দিন দুপুরে তার মৃত্যু হয়। মৃত তাসলিমার চাচাতো ভাইয়ের বউ সিমা আক্তার বলেন- নাক দিয়ে তরল কিছু দেয়ার পর থেকে তাসলিমা যন্ত্রণায় অস্থির হয়ে ওঠে এবং পরের দিন মারা যায়।
মৃত তাসলিমার মা কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন -ওরা আমার মেয়েকে জোর করে ধরে নাক দিয়ে ওষুধ দেয়। এরপরেই আমার মেয়ে মারা যায়।
যাদবপুর ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের সদস্য আলতাফ হোসেন বলেন-আমি ঘটনাটা শুনেছি ।কবিরাজরা রোগীর নাক দিয়ে তরল কোন কিছু প্রবেশ করায় এবং পরের দিন নাকি রোগীর মৃত্যু হয়। এ বিষয়ে সখিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ রেজাউল করিম বলেন -লাশ ময়না তদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পরই অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আলোকিত প্রতিদিন/ ০৩ আগস্ট ,২০২২/ মওম