পিরোজপুরে বিউটিশিয়ানকে শ্বাসরোধ করে হত্যা, স্বামী-ননদ গ্রেফতার

0
349
মাসুম তানভির:
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় পরকিয়ার জেরে বিউটিশিয়ন শাম্মী আক্তার (৪০) কে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগে স্বামী ও নদনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সোমবার রাতে নিহতের ছেলে সাইম আলম (১৭) বাদি হয়ে ফুপু ও সৎ বাবাকে আসামি করে মঠবাড়িয়া থনায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। এরপর তাদের গ্রেফতার করা হয়।এ ঘটনায় মঠবাড়িয়া থানা পুলিশ শাম্মী আক্তারের বর্তমান স্বামী সিরাজুল সালেকিন (৩০) ও আয়শা খানম রোজি (৫০) নামে এক স্কুল শিক্ষিকাকে গ্রেফতার করেছে। আয়শা খানম রোজি কেএম লাতীফ ইনষ্টিটিউশনের শিক্ষিকা ও পাশ্ববর্তী বাগেরহাট জেলার শরনখোলা উপজেলার রাজাপুর গ্রামের ব্যাংক কর্মকর্তা এমাদুল হকের স্ত্রী। নিহত শাম্মী আক্তারের দূরসম্পর্কের ননদ।
সিরাজুল সালেকিন লক্ষীপুর জেলার রামগঞ্জ উপজেলার দরবেশপুর গ্রামের শেখ মোহাম্মদ আলীর ছেলে।
থানা ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নারী উদ্যোক্তা শাম্মী আক্তার কেএম লতীফ সুপার মার্কেটে দ্বিতীয় তলায় দশবছর ধরে ‘শাম্মী বিউটি পার্লার’ নামের একটি পার্লারের ব্যবসা করে আসছিল। প্রথম স্বামী ফিরাজ আলমের সাথে প্রায় ১৩ বছর আগে বিচ্ছেদ হবার পর সেই সংসারের দুই সন্তান নিয়ে মঠবাািড়য়া পৌর শহরের থানা পাড়ায় এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন। দুই বছর আগে বিয়ে হওয়া দ্বিতীয় স্বামী সালেকিন ঢাকায় ব্যবসা করেন। গত রোববার (৭ আগস্ট) শাম্মী আক্তার ও সালেকিনের বিবাহ বার্ষিকী উপলক্ষে সালেকিন ওই দিনই সকালে বাসায় আসেন। বিবাহ বার্ষিকী উপলক্ষে নিকট আত্মীয় শিক্ষিকা আয়শা খানমও ওই বাসায় আসে। শাম্মী আক্তার স্বামী সালেকিনকে নিয়ে ঘরের পিছনের বারান্দায় ঘুমিয়ে পরে। ভাবী আয়শা খানম মাঝ ঘরে ঘুমায়। শাম্মী আক্তার গভীর রাতে তার স্বামী সালেকিন ও ভাবী আয়শা খানমকে ঘরের মাঝের বিছানায় আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ঝগড়ায় জড়িয়ে পরে। ঝগড়ার একপর্যায় স্বামী সালেকিন আয়শা খানমের সহযোগিতায় মুখে বালিশ চাঁপা দিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে।মঠবাড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহা. নূরুল ইসলাম বাদল বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার কথা স্বীকার করেছে। হত্যায় ব্যবহৃত বালিশটি জব্দ করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে মঙ্গলবার (৯ আগস্ট) দুপুরে আদলতে সোপর্দ করা হয়েছে।’
আলোকিত প্রতিদিন/ ১০আগস্ট ,২০২২/ মওম

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here