প্রতিনিধি, চট্টগ্রাম দক্ষিণ:
‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধির প্রস্তাবক, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল হক চৌধুরী মুশতাক স্মারকগ্রন্থের প্রকাশনা উৎসব ও কর্মকৃতির মূল্যায়ন অনুষ্ঠান শুক্রবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে অনুষ্ঠিত হয়েছে। শৈলী প্রকাশনা সংস্থার আয়োজনে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. অনুপম সেন বলেছেন, রেজাউল হক চৌধুরী মুশতাক ছিলেন অসাধারণ এক ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন মানুষ। চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের গুণে তিনি ছিলেন সবার কাছে প্রিয় ব্যক্তিত্ব । অনুপম সেন বলেন, দেশের বিখ্যাত মানুষের নামের আগে একেকটি উপাধি থাকে। যেমন চিত্তরঞ্জনের নামের আগে ‘দেশবন্ধু’, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নামের আগে ‘বিশ্বকবি’, কাজী নজরুল ইসলামের নামের আগে ‘বিদ্রোহী কবি’। এইসব উপাধিতে তারা দেশ-বিদেশে বেশি পরিচিত। ঠিক একইভাবে জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমানের নামের আগে ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধি রয়েছে । বঙ্গবন্ধুকে উপলব্ধি করে এই উপাধির প্রস্তাব দিয়েছিলেন চট্টগ্রামের সন্তান সাবেক ছাত্রলীগ নেতা রেজাউল হক চৌধুরী মুশতাক। তিনি বঙ্গবন্ধুকে খুব ভালোবাসতেন । বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অবিচল ছিলেন মুশতাক । ড. অনুপম সেন বলেন, বিশ্বের বুকে যতদিন ‘বাংলাদেশ’ থাকবে ততদিন ‘বঙ্গবন্ধু’ থাকবে । একইসাথে বঙ্গবন্ধু নামের উপাধির প্রস্তাব হিসেবে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল হক চৌধুরী মুশতাক। তাঁর মতো একজন দেশপ্রেমিক মানুষের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দরকার।
বিশিষ্ট কথা সাহিত্যিক ড. আনোয়ারা আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশের কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল মুহাম্মদ মুসলিম চৌধুরী, সাবেক নির্বাচন কমিশনার মুহাম্মদ আবদুল মোবারক, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক মূখ্য সচিব ড. মুহাম্মদ আবদুল করিম, আগরতলা থেকে প্রকাশিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জন্মশতবার্ষিকী আন্তর্জাতিক স্মারকগ্রন্থের সম্পাদক ড. দেবব্রত দেবরায়। স্বাগত বক্তব্য দেন স্মারকগ্রন্থের সম্পাদক চট্টগ্রাম একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা শিশুসাহিত্যিক সাংবাদিক রাশেদ রউফ। আবৃতিশিল্পী আয়েশা হক শিমুর সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য দেন রেজাউল হক চৌধুরী মুশতাকের বন্ধু শাহজালাল ফিরোজ, রেজাউল হকের পূত্র সাজিদ রেজা চৌধুরী, স্ত্রী নাসরিন রেজা চৌধুরী । বক্তব্য রাখেন, আনোয়ারা প্রেস ক্লাবের সভাপতি ও জাতীয় দৈনিক ‘আলোকিত প্রতিদিন’ পত্রিকার চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার প্রতিনিধি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন ড. মঈনুল ইসলাম মাহমুদ, গান পরিবেশন করেন সীমা পুরোকায়স্ত, বৃন্দ আবৃত্তি করেন উঠান সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের শিল্পীরা ।
আলোকিত প্রতিদিন/ ১৩আগস্ট ,২০২২/ মওম