একেএম ফারুক হোসাইন:
সারাদেশের ন্যায় নোয়াখালীর রাজনীতিতে হঠাৎ উত্তাপ ছড়ায়। নোয়াখালীতে বিএনপি জামাতের হঠাৎ ঝটিকা কর্মসূচী তৎপরবর্তী ২২ আগষ্টের পর সহিংস রাজনৈতিক কর্মসূচী ঘোষণায় নড়েচড়ে বসে ক্ষমতাসীন আ.লীগ। আজ ১৭ই আগস্ট বুধবার নোয়াখালী জেলা আ.লীগের উদ্যোগে এক বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। জেলা আ.লীগের কার্যালয়ের প্রাঙ্গনে বিক্ষোভ সমাবেশে জেলা যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগসহ সহযোগী সংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মী মিছিল স্লোগানে বিকাল ৩টা থেকে সমবেত হতে থাকে। জেলা আওয়ামীলীগের আহবায়ক এ এইচ এম খায়রুল আনম সেলিমের সভাপতিত্বে ও পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি আবদুল ওয়াদুদ পিন্টুর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন আওয়ামীলীগের যুগ্ম আহবায়ক ও পৌর মেয়র শহীদ উল্যাহ খান সোহেল, যুগ্ম আহবায়ক এডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহীন। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আতাউর রহমান নাছের, আওয়ামীলীগ নেতা ও জেলা পরিষদ সদস্য কামাল উদ্দিন, যুবলীগের আহবায়ক ইমন ভট্ট ও মিথুন ভট্ট প্রমুখ। সভাপতির বক্তব্যে এ এইচ এম খায়রুল আনম সেলিম বিএনপি জামাতের সাম্প্রতিক আন্দোলনের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, অতীতে এ নোয়াখালীতে আপনারা (বিএনপি জামাতের) সন্ত্রাসীরা আমাদের দলের ২ জন কর্মীকে হত্যা করেছিলেন। আমাদের পার্টি অফিস আগুন দিয়ে পুড়িয়েছেন। আমরা ক্ষমতায় এসে প্রতিশোধ নেই নাই। আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা শান্তি চায়। আমরাও শান্তি চাই। শান্তি বিনষ্ট হোক এমন কর্মকান্ড থেকে বিএনপি জামাতকে বিরত থাকতে হুশিয়ারি উচ্চারণ করেন। তিনি আরও বলেন, বিএনপি জামাতের অপরাজনীতি রুখে দিতে ঐক্যবদ্ধ যুবলীগ ছাত্রলীগই যথেষ্ট। আওয়ামীলীগে কোনো বিভক্তি নাই এবং বিপদে সকল আওয়ামীলীগার এক হয়ে যায়। এ সময় তিনি বলেন আওয়ামীলীগ জাতে মাতাল হলেও তালে ঠিক। সমাবেশে সোনাপুর থেকে আওয়ামীলীগ নেতা জেলা পরিষদ সদস্য কামাল উদ্দিনের নেতৃত্বে কয়েক হাজার কর্মী সমর্থক সমাবেশস্থলে উপস্থিত হলে সকলে করতালি দিয়ে তাদের স্বাগত জানায়।
আলোকিত প্রতিদিন/এপি
