ন্যান্সি পেলোসির সফরের পর যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যকার সম্পর্কের উত্তেজনা ক্রমেই বাড়ছে। গত জুনে প্রথম ‘যুক্তরাষ্ট্র-তাইওয়ান ইনিশিয়েটিভ অন টুয়েন্টি ফার্স্ট সেঞ্চুরি ট্রেড’ শীর্ষক আলোচনার পরিকল্পনা উন্মোচিত হয়। উভয় পক্ষই এখন বলছে তারা ‘আলোচনায় সম্মতির বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছেছেন’। যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধি কার্যালয়ের উপপ্রধান সারাহ বিয়ানচি বলেন, ‘আমরা একটি উচ্চাভিলাষী সময়সূচী অনুসরণের পরিকল্পনা করছি। ২০২০ সালে যুক্তরাষ্ট্র ও তাইওয়ানের মধ্যকার বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ১০ হাজার ছয়শ’ কোটি ডলার।
আগস্টের শুরুতে ন্যান্সি পেলোসির সফরের পর তাইওয়ান ঘিরে সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া চালায় চীন। এরপর আবার তাইওয়ানের সঙ্গে বাণিজ্য আলোচনা শুরুর ঘোষণা দিলো যুক্তরাষ্ট্র। এক চীন নীতি’ স্বীকৃতি দিয়ে থাকে যুক্তরাষ্ট্র। চীনের সঙ্গে তাদের আনুষ্ঠানিক সম্পর্ক রয়েছে কিন্তু এরপরও তাইওয়ানের সঙ্গে ‘জোরালো অনানুষ্ঠানিক’ সম্পর্ক বজায় রাখে। দ্বীপটির কাছে অস্ত্র বিক্রিও করে ওয়াশিংটন।স্বশাসিত তাইওয়ানকে নিজেদের অংশ বিবেচনা করে চীন। প্রয়োজনে শক্তি প্রয়োগ করে হলেও অঞ্চলটিকে নিজেদের আওতায় রাখতে চায় চীন।
এদিকে, বৃহস্পতিবার পূর্ব এশিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ কূটনীতিক ড্যানিয়েল ক্রিটেনব্রিঙ্ক বলেন, বেইজিংয়ের ‘ক্রমবর্ধমান বলপ্রয়োগ তাইওয়ান প্রণালীর শান্তি এবং স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি’। তিনি বলেন, ‘আমাদের দীর্ঘস্থায়ী নীতির সঙ্গে সঙ্গতি রেখে বেইজিংয়ের চলমান প্রচেষ্টার মুখে শান্তি এবং স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য এবং তাইওয়ানকে সমর্থন করার জন্য আমরা শান্ত, কিন্তু দৃঢ় পদক্ষেপ নিতে থাকবো’।
সূত্র: বিবিসি