মধ্যনগরে শিক্ষকের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগের প্রতিবাদে মানববন্ধন! 

0
664
প্রতিনিধি,মধ্যনগর (সুনামঞ্জ): 
সুনামগঞ্জের মধ্যনগর উপজেলার বংশীকুন্ডা(দঃ)ইউনিয়নের আব্দুল খালেক মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল জলিলের  বিরুদ্ধে ছাত্রীকে বেত্রাঘাত করে বের  করে দেওয়ার  ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অভিযোগ করার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এছাড়া মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে শিক্ষককের মানহানী করায় বিচার চেয়েছে ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
২০ আগষ্ট  শনিবার   বিদ্যালয়ের  সামনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে সাধারণ শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন। মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, আব্দুল জলিল স্যার একজন শিক্ষার্থীবান্ধব শিক্ষক। তিনি সবসময় শিক্ষার্থীদের সমস্যা সমাধানে এগিয়ে আসেন এবং শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক যে কোনো দাবিতে তিনি সমর্থন জানান।  এই বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেনীর  শিক্ষার্থী  সাদিয়ার বাবা তার মেয়ের জামাতার জন্য সরকারি ঘর  পাওয়ার আশায় অত্র ইউনিয়নের  ৩ নং ওয়ার্ডের মেম্বার একলাস উদ্দিনের  কাছে  টাকা জমা দেয়। আমাদের প্রধান শিক্ষক এ অনৈতিক বিষয় নিয়ে ইউএনও মহোদয়ের কাছে এলাকাবাসীর পক্ষে লিখিত অভিযোগ প্রেস করার পর থেকেই তারা বিভিন্ন ভাবে স্যারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হতে থাকে। এক প্রর্যায়ে পরিকল্পিত ভাবে  স্কুলের সড়কের মাটি  কেটে নিয়ে বাড়িতে ঘর  লেপার কাজ করে, আমাদের উপস্থিতিতে স্যার সাদিয়াকে জিঙ্গেস করলে সাদিয়া তাৎক্ষণিক বাড়িতে চলে গিয়ে  তার মা বাবা ও স্থানীয় একটি কুচক্রীমহলের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে আমাদের প্রানপ্রিয় শিক্ষকের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ করেন। যা সম্পুর্ন মিথ্যা ও বানোয়াট। এতে আমাদের প্রানপ্রিয় শিক্ষকের সম্মানহানি হয়েছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
শিক্ষার্থীরা আরো বলেন, আমরা আমাদের শিক্ষককে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে অপমানিত করায় বিচারের দাবি জানাচ্ছি। এছাড়া শিক্ষার্থীরা উল্লেখ করেন যে, অত্র বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাদিয়া আক্তার ( অষ্টম  শ্রেনী) দীর্ঘদিন ধরেই স্কুলের নিয়ম -কানুন ও আমাদের শিক্ষকদের আদেশ উপদেশ অমান্য সহ অসম্মান জনক ব্যবহার করে আসছিলেন। মাস তিনেক আগেও শিক্ষক ও সহপাঠীদের  সাথে অশোভন আচরন করে ছিলেন যা তার গার্ডিয়ান কে অবগত করা হয় এবং তার মা সকলের কাছে ক্ষমা চান।  তারা আরও বলেন আশেপাশে আমাদের কোন বিদ্যালয় না থাকায় দীর্ঘদিন ধরে আমরা ভোগান্তিতে ছিলাম। আমাদের গ্রামে একটি হাইস্কুল হওয়াতে আমরা অত্যান্ত আনন্দিত ও খুশি। আমাদের ভোগান্তি লাগব হয়েছে কিন্তু সাদিয়া ও তার পরিবার ও কিছু কু-চক্রীমহল আমাদের  বিদ্যালয়ের ও স্যারের  মানহানি করেছে।
মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে শিক্ষককে অপমানিত ও আমাদের বিদ্যালয়কে মানক্ষুন্য  করায় অভিযোগক্ত সকলকে  প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে পাশাপাশি অভিযোগকারীকে বিচারের আওতায় আনতে হবে। উল্লেখ্য,  ১৬ আগস্ট অষ্টম শ্রেনীর ছাত্রী মোছাঃ সাদিয়া আক্তার কে বেত্রাঘাত করে স্কুল থেকে বের করে দেওয়ার মিথ্যা অভিযোগ এনে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক  মো. আব্দুল জলিলের বিরুদ্ধে ইউএনও  বরাবর অভিযোগ পত্র দাখিল করেন।
আলোকিত প্রতিদিন/ ২০ আগস্ট ,২০২২/ মওম

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here