আবু সায়েম:
কক্সবাজার উখিয়া পাটুয়ার টেক বাইল্যাখালী সৈকতে মঙ্গলবার ২৩ আগষ্ট দুপুর ১২ টার সময় ভেসে এসেছিল অপ্রাপ্ত বয়স্ক একটি আহত ডলফিন। কিন্তু বিকেলে সৈকতেই মারা গেছে ডলফিনটি। কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগ, বীচ কর্মী ও সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটের লোকজন মৃত ডলফিনটি উদ্ধার করেছে।
স্থানীয়দের সুত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার দুপুর ১২ টার দিকে পাটুয়ার টেক বাইল্যাখালী সৈকতে জীবিত একটি আহত ডলফিন ভেসে আসে। মাছ ধরতে যাওয়া স্থানীয় বেলাল নামের একজন জেলে বিষয়টি জেলা প্রশাসনের বীচ কর্মী ও বনবিভাগকে জানান।পরে বনবিভাগ ও বীচ কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছেন। সেখানে উদ্ধার করা ডলফিনটি পানিতে ভাসিয়ে বাঁচানোর চেস্টা করেন। এমন কি ডলফিনটিকে কয়েক বার সমুদ্রের দিকে ফেরত পাঠালেও বার বার কুলে ফিরে আসে। ডলফিনকে সাগরে ফেরানো ও বাঁচানোর সব চেস্টা ব্যর্থ করে মৃত্যুর কুলে ঢলে পড়ে ডলফিন। বিকেলে সাড়ে ৩ টার দিকে বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আবু সাঈদ মুহাম্মদ শরীফ ঘটনাস্থলে এসে ডলফিনকে মৃত ঘোষণা করেন।
সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আবু সাঈদ মো. শরীফ জানান, মৃত ডলফিনের ওজন সাড়ে ২৮ কেজি এবং লম্বা ৫ ফুট ২ ইঞ্চি। ডলফিনটির শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ডলফিনটি ‘বোতল নোজ’ প্রজাতির। সাগরের সব জায়গায় এদের বিচরণ। শান্ত স্বভাবের এই ডলফিনগুলো পরিবারকেন্দ্রিক দলবদ্ধভাবে থাকে। একে অপরের সাথে মারামারি করারও কোনো নজির নেই। তাই, কি কারণে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে তা এই মুহূর্তে বলা কঠিন।
কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোঃ সারওয়ার আলম জানান, মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৪ টার দিকে নৃত ডলফিলটি বনবিভাগ ও বীচ কর্মীরা উদ্ধার করে সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউট ল্যাবেক আনা হয়েছে।
তিনি জানান, সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউ ল্যাবেই ডুলাহাজারা বঙ্গবন্ধু বন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের ভেটেরিনারি সার্জন ও সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা যৌথ ভাবে ময়না তদন্ত করা হচ্ছে। ময়না তদন্তের পর ডলফিনের মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে ডলফিনটি জেলেদের জালে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে আহত অবস্থায় সমুদ্রে ভেসে আসে।
আলোকিত প্রতিদিন/ ২৩ আগস্ট ,২০২২/ মওম
