আব্দুল সাত্তার:
নগরীর বাকলিয়া থানাধীন মিয়াখান নগর এলাকায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। ২৯ আগস্ট সোমবার বিকালে ৫টার দিকে মিয়াখান নগর এলাকার বাদামতলী মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ দাবি করেছেন, এতে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের ৬ নেতাকর্মীর মাথা ফেটে গেছে। তারা মারাত্মকভাবে আহত হয়েছেন। হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করা হয়েছে ওয়ার্ড কাউন্সিলরের অফিস এবং বাসা। কাউন্সিলরের অফিস ও বাসায় ভাঙচুরের ঘটনায় ৪২ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয় । এদিকে বিএনপিও তাদের ১২ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছে বলে দাবি করেছে।
জানা গেছে, গতকাল বিকাল সাড়ে ৪টায় মিয়াখান নগরের মনসুর আলী সড়কে কাউন্সিলর নুরুল আলম মিয়ার নেতৃত্বে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা জাতীয় শোক দিবসের শোক মিছিল বের করে। অপরদিক থেকে ওয়ার্ড বিএনপির গণমিছিল বের হয়। দুই মিছিল মুখোমুখি হলে উভয় পক্ষের মধ্যে সংর্ঘষের ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় রাতে বাকলিয়া থানায় বিএনপির ৪২ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে বাকলিয়া থানা যুবলীগের সভাপতি ও ওয়ার্ড কাউন্সিলর নুরুল আলম মিয়া বিজয় বাংলাদেশকে জানান, আমরা বিকাল সাড়ে ৪টায় জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে শোক মিছিল বের করেছিলাম। এসময় ওয়ার্ড বিএনপির নেতাকর্মীরা একটি মিছিল নিয়ে এসে বিনা উস্কানিতে আমাদের মিছিলে হামলা চালিয়েছে। বিএনপি নেতাকর্মীদের হামলায় আমাদের যুবলীগ ও ছাত্রলীগের মো. সোহেল, সোয়েব চৌধুরী বাচ্চু, মিনহাজুল ইসলাম মিনহাজ, সাফয়েত নেওয়াজ রোকন, ইনজামুল ইসলাম ইমু ও নিরবসহ ৬ জন নেতাকর্মী মারাত্মক আহত হয়েছেন। তাদের মাথা ফেটে গেছে। মিছিল থেকে বিএনপির নেতাকর্মীরা আমার অফিস এবং বাসায় হামলা চালিয়ে চেয়ার-টেবিল ও সিসিটিভি ভাংচুর করেছে।
এই বিষয়ে কাউন্সিলর নুরুল আলম মিয়া জানান, রাতে বাকলিয়া থানায় বিএনপির ৪২ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার আসামীরা হলেন ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি নবাব খান, ইয়াকুব খান বাবু, হাজী ইউনুস, বিএনপির সাবেক কাউন্সিলরের ছেলে সরোয়ার কাদের, ইউসুফ চৌধুরী হাকিম, সালাউদ্দিন চৌধুরী বাচ্চু, যুবদলের সভাপতি সরোয়ার কাদের চৌধুরী।
এদিকে নগর বিএনপি’র সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দাবি করা হয়, ১৯ নং দক্ষিণ বাকলিয়া ওয়ার্ডে মিয়াখাঁন নগরে ওয়ার্ড বিএনপির কেন্দ্রীয় ঘোষিত পূর্ব নির্ধারিত সমাবেশ ও মিছিল ছিল। শুরু হওয়ার কথা ছিল বিকাল সাড়ে ৫টায়। তবে আধঘন্টা আগে থেকে নেতকর্মীরা জড়ো হতে থাকে। পাঁচটার দিকে ছাত্রলীগ, যুবলীগের কর্মীরা অতর্কিতভাবে বিএনপি নেতাকর্মীর উপর হামলা করে। এতে সিরাজ, নুরুদ্দিন, রনি, জাহাঙ্গীর, জব্বার, আরিফ, ইমনসহ বিএনপির ১০-১২ জন নেতাকর্মীসহ আরো অনেকে আহত হন।
বাকলিয়া থানার ওসি মোহাম্মদ আব্দুর রহিম জানান, মিয়াখান নগর এলাকায় বিএনপির সভার পাশ দিয়ে স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলরের নেতৃত্বে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের মিছিল যাওয়ার সময় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসময় পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বিএনপি নেতাকর্মীরা পরে স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলরের অফিসে ও বাসায় হামলা চালায়। এই ব্যাপারে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছি।
আলোকিত প্রতিদিন/ ৩০ আগস্ট ,২০২২/ মওম